ঢাকা: ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫০১ রান ও টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০০ রানের মালিক ‘ক্রিকেটের বরপুত্র’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা। দু’টো ইনিংস খেলেই তিনি ছিলেন অপরাজিত।
১৩১ টেস্টে ১১ হাজার ৯৫৩ রান আর ২৯৯ ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৪০৫ রান করা লারাকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল তার দেখা সবথেকে দ্রুতগামী বোলার, সফল ব্যাটসম্যান, উইকেটরক্ষক, ফিল্ডার, স্পিন বোলার আর অলরাউন্ডার। ‘ফক্স স্পোর্টস’কে এসব প্রশ্নের উত্তর দেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।
দ্রুতগামী বোলার হিসেবে একজনকে বেছে নিতে বলা হলে অনেকেই ভেবেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে বেছে নেবেন লারা। কারণও ছিল যথেষ্টই। টেস্টে ৫৬৩টি উইকেটের মালিক অজি পেসার ম্যাকগ্রা সাদা পোশাকের খেলায় সর্বোচ্চ ১৫ বার লারাকে বিদায় করেছেন। ৭ বার লারাকে আউট করে এ তালিকায় দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আন্দ্রে নেল। অবসরের পর ম্যাকগ্রা জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার তার চোখে কঠিন একজন ব্যাটসম্যান ছিলেন। কিন্তু, শচীনের থেকেও বেশি কষ্ট হতো টেস্টে লারার উইকেট তুলে নেওয়া।
‘প্রিন্স অব ত্রিনিদাদ’ খ্যাত লারা অজি পেসার কিংবা প্রোটিয়া পেসারকে বেছে নেননি। সকলকে অবাক করে দিয়ে পাকিস্তানের ‘কিং অব সুইং’ খ্যাত ওয়াসিম আকরামের নাম বলেন। এ প্রসঙ্গে লারা জানান, ‘নতুন বলে হোক আর পুরোনো বলেই হোক, বিশ্বের অন্যতম বোলার ওয়াসিম আকরাম। আমার দেখা তার মতো বোলার আর কেউ নেই। সে বলে গতি তোলার সঙ্গে সুইংয়েও বিশ্ববিখ্যাত ছিল। তার থেকে সেরা কেউ হতে পারেনা। ’ ওয়ানডে ক্রিকেটে ওয়াসিম লারাকে সাতবার আউট করেছিলেন।
উইকেটরক্ষক বেছে নিতে বলা হলে লারা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি মনে করি এটা আমার জন্য বেছে নেওয়া খুবই কষ্টের হবে। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট উইকেটের পেছনে দারুণ ভূমিকা রাখতো। তবে, কুমার সাঙ্গাকারাও কম যেতো না। গিলি (গিলক্রিস্ট) প্রসঙ্গে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমাকে যদি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বেছে নিতে বলা হয় আমি সাঙ্গাকে বেছে নেব। ’
লারা আরও যোগ করেন, সাঙ্গা গত বিশ্বকাপে টানা চারটি শতক হাঁকিয়েছে। টেস্টে তার ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। ক্রিকেটের দুই ফরমেটে তার রেকর্ডগুলো অসাধারণ। গিলি আর সাঙ্গার থেকে একজনকে বেছে নিতে বলা হলে, কঠিন এ কাজে আমি সাঙ্গাকে বেছে নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর