ঢাকা: শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। খেলোয়াড়দের পাওনা ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবারের আসরটি সফল হয়েছে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলের সাফল্য তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা।
প্রথম দুটি আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের পাওনা জটিলতা ও ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে বিপিএলের ভবিষ্যত অনেকটা রুদ্ধ হয়ে যায়। মাঝের এক বছর বন্ধও থাকে বিপিএল। তবে এবারের আসর শেষে স্বস্তিতে বিসিবি সভাপতি।
তৃতীয় আসর মূল্যয়ন করতে গিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার আমরা যে বিপিএল আয়োজন করি তাতে একটু সমস্যা থেকে গিয়েছিল। এবার আমরা সচেতন ছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম এবারের বিপিএলে যেন পুরোনো সমস্যাগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। সেদিক থেকে আমি বলবো আগের সমস্যাগুলোর মতো কোনো অভিযোগ পাইনি। এবারে বিপিএল গত দুই আসরের চেয়ে বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওনার ৭৫ শতাংশ অর্থই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা পরিশোধ করেছে বলে জানান বিসিবি সভাপতি। এটিকেও স্বস্তির জায়গা হিসেবে দেখছেন বিসিবি সভাপতি, ‘পেমেন্টর কথায় যদি আমরা আসি, তাহলে বলবো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চিটাগং ভাইকিংস শতভাগ পেমেন্ট করেছে। রংপুর রাইডার্স শতভাগ বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করেছে আর ৭৫ শতাংশ স্থানীয় খেলোয়াড়দের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরিশাল বুলস ৭৫ শতাংশ (দেশি-বিদেশি) পেমেন্ট ক্রিকেটারদেরকে দিয়েছে। ঢাকা ডায়নামাইটস ও সিলেট সুপারস্টারস সকল খেলোয়াড়দের ৭৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করেছে। চুক্তিতে যা ছিল তাতে তারা কেউই পিছিয়ে নেই। এটা স্বস্তির জায়গা। এবার পেমেন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন পালন করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
এসবের মধ্যে সবচেয়ে সার্থকতার বিষয় হিসেবে বিসিবি সভাপতি দেখছেন বিদেশি নামকরা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ও আগামীতে অংশগ্রহণের আশ্বাসের বিষয়টি, ‘বিপিএল শুরুর আগে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। এ জন্য একটা সিরিজ (বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া) বাদ দিতে হয়েছিল। কিছু নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডও ঘটেছিল। তারপরও বিদেশি খেলোয়াড়, কোচ যাদের আশা করেছিলাম তাদের সকলকে আমরা পেয়েছি। নামকরা প্লেয়াররাও খেলে গেছে। প্রায় ৬৫ জন বিদেশি খেলোয়াড়, ৬ জন কোচ ও ফিজিও অংশ নিয়েছিলেন। যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে প্রত্যেকেই এই টুর্নামেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জানিয়েছেন, খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন তারা। নিখুঁত টুর্নামেন্ট হয়েছে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে সামনেও অংশ নিতে আগ্রহী তারা।
কিছু ম্যাচে লো-স্কোর হওয়া প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান হাসান বলেন, মিরপুরে খুব বেশি ম্যাচ হওয়াতে উইকেটকে ঠিক করা যাচ্ছিল না। এছাড়া তখন আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল না। তবে ভবিষ্যতে আমরা অবশ্যই ভেন্যু বাড়াবো, দলও বাড়াবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর