ঢাকা: আগামী ২৭ জানুয়ারি শুরু হবে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের একাদশতম আসর। ১৬টি দেশের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে মূলপর্বের ম্যাচগুলো।
সব মিলিয়ে আইসিসির এ ইভেন্টের মূলপর্বেই রয়েছে ৪৮টি ম্যাচ। এছাড়া রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচও। বৃহৎ এ ক্রিকেটযজ্ঞ আয়োজনের পুরোপুরি প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
যুব বিশ্বকাপ আয়োজন প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিসিবির সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। যেহেতু ১৬টি দলের খেলা ও একই দিনে প্রায় চারটি করে ম্যাচও থাকবে সে জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট অন্যান্য ইভেন্টের চেয়ে অনেক বেশি লাগবে। সে জন্য আমরা এ কাজটি প্রায় দেড় বছর আগেই শুরু করেছি। প্রতিটি ভেন্যুতে বাড়তি উইকেট তৈরী করেছি। সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে প্রচুর খেলা হবে এবং আন্তার্জাতিক মান বজায় রেখে ভালো মাঠে পরিকল্পিতভাবে ম্যাচ আয়োজনের লক্ষ্যে এই বিশ্বকাপে প্রস্তুতি নিয়েছি। ’
যুব বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসি ও সদস্য দেশগুলোর আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে বলে জানান মাহবুব আনাম। এ জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রতি আইসিসির পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলোও মনযোগী হচ্ছে। অতীতে যে বিশ্বকাপগুলো করেছিলাম তার জন্য যে আনুষাঙ্গিক বিষয় ছিল এবার তার চেয়েও আয়োজন উন্নত করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু এবার স্বীকৃত ভেন্যুতেই ম্যাচগুলো দিয়েছি। তার সাথে সাথে প্রেয়ারদের আবাসনও উন্নত করা হয়েছে। অতীতে আমরা হোটেল যেটা ব্যবহার করেছিলাম সে অবস্থান থেকে সরে এসে আমরা ফাইভস্টারে তাদের রাখবো। ’
মাহবুব আনাম আরও যোগ করেন, ‘এটা ডেভলপিং টুর্নামেন্ট হলেও এটাকে মূল বিশ্বকাপের সমতূল্য করা হয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আমরা একটি ভালো টুর্নামেন্ট দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসকে/আরএম