ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রাজশাহীতে সাড়া ফেলেছে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
রাজশাহীতে সাড়া ফেলেছে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করতে রাজশাহীতে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় থেকে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারাজ্জুমান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে নিবন্ধিতরা এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে পারছেন।

ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।  

বেলা ১১টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিবন্ধিতদের মধ্য থেকে দু’জনেক বাছাই করেছে বিসিবি। এরা হলেন- রাজশাহী ক্লেমন একাডেমির আসিফ ইকবাল ও মোহর শেখ।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক বোলিং কোচ সারওয়ার ইমরানের নেতৃত্বে সাতজনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। এ বিভাগে মোট ৯৯৩ জন ফাস্ট বোলার হান্টে অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।  

রবি’র কমিউনিকেশন অ্যান্ড করপোরেট রেসপন্সেবিলিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের সকাল ৮টার মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিলো। ক্যাম্পেইনকে ঘিরে তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।

‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ নামে এই ক্যাম্পেইন চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে, যার নিবন্ধন শুরু হয় ১ জানুয়ারি থেকে। এসএমএস, অনলাইন ও দেশজুড়ে নির্দিষ্ট রবি ওয়াক-ইন-সেন্টারের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইনে নিবন্ধন করা গেছে।

এতে ফাস্ট বোলিং প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ থাকছে ছেলে ও মেয়ে উভয় ক্যাটাগরিতেই। তবে অংশগ্রহণকারীদের বয়স ১৬ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে, ছেলেদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট হতে হবে। আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে ইতোপূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছিলো।

দুই দফার ক্যাম্পেইনের প্রথম দফা শুরু হয় ১৭ জানুয়ারি। দেশের ১৬টি স্থানে ফাস্ট বোলার নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে। চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য বাছাই করা ৬৪ জনকে হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্পে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক যোগ্যতা ও দক্ষতার (ওজন, উচ্চতা, ভারসাম্য, নি টু ওয়াল টেস্ট) ওপর ভিত্তি করে এদের যাচাই করা হবে।

প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে পর্যবেক্ষণ ও তাদের রেকর্ড সংগ্রহের জন্য জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি থেকে বোলিং কোচ নিযুক্ত থাকবেন। যাচাই-বাছাইপর্ব শেষে শীর্ষ ১২ জন (১০ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে) খেলোয়াড়কে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এই ১২ খেলোয়াড় যেনো জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারেন সেজন্য তাদের হাই পারফরম্যান্স টিমের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।   

বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।