ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নেপাল দলপতির বিদায়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬
নেপাল দলপতির বিদায় ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: বয়স নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো নেপালের দলপতি রাজু রিজালকে ফিরিয়ে দিয়েছে টাইগার যুবারা। রানআউট হয়ে ফেরার আগে তিনি ৮০ বলে ৭২ রান করেন।

সাজঘরের পথ ধরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি চার আর একটি ছক্কা।

৩৪ ওভার শেষে নেপালের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান।

চলতি যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে নেপালের যুবাদের বিপক্ষে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল নয়টায় ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কোয়ার্টার ফাইনালের এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নেপাল দলপতি রাজু রিজাল।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন নেপালের ওপেনার সন্দীপকে (৭)। ৬ বলের ব্যবধানে নেপালের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। পরের ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে মেহেদি হাসান রানা ফিরিয়ে দেন যোগেন্দ্র কারকিকে (১)। রানার দুর্দান্ত বাউন্সারে দিশেহারা হয়ে কারকি ক্যাচ তুলে দেন সাইফ হাসানের হাতে। দলীয় ১৯ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় নেপাল।

এরপর উইকেটে জুটি বাঁধেন নেপালের দলপতি রাজু রিজাল আর ওপেনার সুনীল ধামালা। দুশ্চিন্তা বাড়াতে থাকা তৃতীয় উইকেট জুটিটি বাংলাদেশ ভেঙেছে দুর্দান্ত এক রান আউটের মাধ্যমে। ৪৪ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ধামালা। দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন সেট ব্যাটসম্যান ধামালা। রানআউট হওয়ার আগে তিনি ৬২ বলে দুটি চারে ২৫ রান করেন।

দলীয় ৬৩ রানের মাথায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরলেও দলকে টেনে নিয়ে চলেন নেপালের অধিনায়ক রাজু রিজাল। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন আরিফ শেখ। ইনিংসের ২৮তম ওভারে ৫১ রানের এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ডিপ মিডউইকেটে তুলে মারতে গিয়ে জয়রাজ শেখের অসাধারণ আর দৃষ্টিনন্দন এক ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন আরিফ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ৩২ বলে দুটি চারের সাহায্যে তিনি এ রান করেন।

যুব বিশ্বকাপের মেগা ইভেন্টে এর আগে বাংলাদেশ তিনবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। তিনবারই ছিটকে পড়তে হয় টাইগার যুবাদের। এবারে ফেভারিটের তকমা লাগিয়েই মিশন শুরু করেছে স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপকে নিজেদের কাছে রেখে দিতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, আরিফুল ইসলাম, পিনাক ঘোষ, সালেহ আহমেদ শাওন, সাঈদ সরকাররা।

গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই টাইগার যুবারা কোয়ার্টারে উঠেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ড আর নিজেদের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেয় মিজানুর রহমানের ছাত্ররা।

বাংলাদেশ-নেপাল যুবাদের পরিসংখ্যান দেখলে কাগজে-কলমে কিছুটা এগিয়ে নেপালিরা। একবারই দুইদল মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বমঞ্চে। ২০০২ বিশ্বকাপের আসরে প্লেট সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাফিস ইকবালের দলকে হারতে হয় ২৩ রানে। তবে, এবার একেবারেই ভিন্ন গল্প রচনা করে চলেছে টাইগার যুবারা।

আজকের ম্যাচে জিততে পারলে দারুণ একটি মাইলফলক ছোঁয়া হবে মেহেদি হাসান মিরাজের দলের। বলা চলে যুব বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ দলের। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পঞ্চম হয়েছিল। সেটিই এখন পর্যন্ত টাইগার যুবাদের সেরা সাফল্য হয়ে আছে।

এবারের আসরে নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়া নেপাল। নিজেদের গ্রুপের সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হারে জগত বাহাদুরের শিষ্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর

** সাইফুদ্দিন-জয়রাজ ফেরালেন আরিফকে
** ২৬ ওভারে নেপাল ১০৫/৩
** সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছে টাইগাররা
** উইকেটের অপেক্ষায় টাইগার যুবারা
** ১৪ ওভার শেষে নেপাল ৫১/২
** নেপালের ওপেনার সাজঘরে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।