ঢাকা, বুধবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হরভজনের পাশে বোর্ডের থাকা উচিৎ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
হরভজনের পাশে বোর্ডের থাকা উচিৎ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চলমান এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামা হয়নি ভারতের সিনিয়র স্পিনার হরভজন সিংয়ের। সে ম্যাচে স্পেশাল স্পিনার হিসেবে খেলানো হয় রবীচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজাকে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলাইন মুশতাক।

দুসরা বোলিংয়ের জনক সাকলাইন এ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে জানান, অশ্বিন বিশ্বমানের বোলার। কিন্তু, হরভজনকে গত সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা মোটেও ঠিক হয়নি। এটা তার আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা দিচ্ছে। সিনিয়র এ স্পিনারের সঙ্গে ভারতীয় বোর্ড যা করছে তা সত্যিই আমাকে ভীত করে তুলছে। হরভজন একজন বিশ্বমানের বোলার ছিল এবং এখনও সে বিশ্বমানের একজন বোলার হিসেবেই রয়েছে।

সাকলাইন আরও যোগ করে বলেন, অশ্বিনের দুর্দান্ত পারফর্মের কারণ এই নয় যে আপনি তাকে প্রতিটি ম্যাচেই খেলাবেন আর হরভজনকে বাইরে বসিয়ে রাখবেন। এটা তার প্রতি একরকমের চাপ। অশ্বিনের মতোই তাকেও সুযোগ দেয়া উচিৎ। নয়তো বিশ্বমানের একজন বোলারের উপর আপনি চাপের বোঝা বাড়িয়ে দেবেন। বিশ্বমানের একজন বোলারকে এভাবে একটানা সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখাটা ভালো কোনো উদাহরণ নয়।

টেস্টে ২০৮ এবং ওয়ানডেতে ২৮৮টি উইকেট নেয়া ৩৯ বছর বয়সী সাকলাইন জানান, ২০১১ সালে দল থেকে হরভজন ছিটকে পড়ে, এরপরও দারুণভাবে সে তিন তিনবার নিজেকে দলে ফিরিয়ে এনেছে। দলে বারবার ফিরে আসাটাও একরকম চাপ তৈরি করে। তারমানে এই নয় যে, যখন আপনার তাকে প্রয়োজন দলে নেবেন আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখবেন। এভাবে তার প্রতি চাপ তৈরি করা মানে তার অতীত অর্জনগুলোকে অস্বীকার করা।

ভারতীয় বোর্ডের উচিৎ হরভজনের পাশে দাঁড়ানো-এমনটি জানান সাকলাইন। তার মতে, কামব্যাক করার পর একজন স্পিনার তার সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। হরভজন যদি শতভাগ ফিট থাকে, তবে কেনো তাকে একজন সিনিয়র স্পিনার হিসেবে খেলানো হচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে সাকলাইন জানান, মানুষ ও ক্রিকেটার হিসেবে তার অনুভূতি আর আবেগ রয়েছে। এটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভেবে দেখা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।