ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর সাকিবের কাছে মাশরাফির হার 

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর সাকিবের কাছে মাশরাফির হার  ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আফগানিস্তান সিরিজ কড়া নাড়ছে দরজায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢাকায় এখন আফগান ক্রিকেটাররা।

প্রায় ১০ মাস পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের সামনে।  

আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশের সামনে শক্তিশালী ইংল্যান্ড। ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি হওয়া চাই দারুণ। প্রস্তুতি হয়েছে প্রত্যাশামতোই।  টাইগারদের নিজেদের মধ্যে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফলই যেন তার বড় প্রমান! 

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে শ্বাসরুদ্ধ উত্তেজনার পর মাশরাফি বিন মর্তুজার বিসিবি লাল দলকে ১ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের বিসিবি সবুজ দল।

সকালের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ে দেড় ঘন্টা পর শুরু হয় ম্যাচটি। সময় নষ্ট হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৫ ওভারে।  

বিসিবি লাল দলের দেয়া ২৩১ রানের টার্গেটে ৪০.১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় সবুজ দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন এনামুল হক বিজয়। সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। লিটন কুমার দাস ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয় তুলে মাঠ ছাড়েন। শেষ উইকেটে ১১ রানের দরকার পড়লে রোমাঞ্চকর উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। তবে লিটন দাস উইকেটে সাবধানী হয়ে খেলে শেষ পর্যন্ত সাকিবের দলকে জয় উপহার দেন।
 
বিসিবি লাল দলের পেসার ‍রুবেল হোসেন ৫১ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিয়েছেন দুটি উইকেট।
 
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি বিন মর্তুজার বিসিবি লাল দল ৪৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান জমা করে। ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার জুটি দারুণ সূচণা এনে দেন। ওপেনিং জুটিতে এ দুই ব্যাটম্যান  যোগ করেন ৮৫ রান।  

সাকিব আল হাসানের ঘূর্নিতে সৌম্য সরকার ৩০ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১০২ রানের মাথায় ইমরুলকে ফিরিয়ে আবার আঘাত হানেন সাকিব। ৫২ বলে ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ইমরুলের বিদায়ের পর খেই হারিয়ে বসে বিসিবি লাল। স্কোরবোর্ডে যখন ১১১ রান, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহসহ সাজঘরে তখন পাঁচ ব্যাটসম্যান। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শুভাশিষ রায়ের বলে উইকেটের পেছনে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ১৪ রান করে। মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লুউ করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান শুভাশিষ।  

এরপর মাশরাফির দলের  ইনিংসের হাল ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এ তরুনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। তবে লাল দলের ইনিংসে আসল কাজটি করে দেন আলাউদ্দিন বাবু। ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে চার-ছক্কার ঝড় তুলেন এ অলরাউন্ডার। ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলে লড়াইয়ের পুঁজি পাইয়িয়ে দেন দলকে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
এসকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।