ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্যাপেল ছোঁয়ায় নারী দলের দিন বদলের আভাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
ক্যাপেল ছোঁয়ায় নারী দলের দিন বদলের আভাস ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বল হাতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাফল্য সর্বজনবিদীত। পান্না, জাহানারার পেস ও রুমানার স্পিনে কাবু হননি এমন ব্যাটসম্যান বিশ্ব নারী ক্রিকেটের মঞ্চে খুব কমই আছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের পশ্চাতপদতা লেগেই আছে।

ঢাকা: বল হাতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাফল্য সর্বজনবিদীত। পান্না, জাহানারার পেস ও রুমানার স্পিনে কাবু হননি এমন ব্যাটসম্যান বিশ্ব নারী ক্রিকেটের মঞ্চে খুব কমই আছেন।

কিন্তু ব্যাট হাতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের পশ্চাতপদতা লেগেই আছে। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট থেকে শুরু করে সমস্যা প্রকট ছিল বড় শটসেও। ছয়, চার যেন টাইগ্রেসদের জন্য অনেকটা অলীক কল্পনা ছিল।

তবে টাইগ্রেসদের এমন দুর্দিন আর দেখা যাবে না বলে জানালেন কোচ ডেভিড ক্যাপেল। রোববার (২০ নভেম্বর) মিরপুর একাডেমি মাঠে একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ব্যাটিং দৈন্যতা শেষ বলে জানিয়ে দিলেন নবনিযুক্ত এই কোচ, ‘বাংলাদেশের মেয়েদের দুর্বল রানিং বিটুইন দ্য উইকেট এবং বড় শট খেলতে না পারা এগুলো এখন শুধুই অতীত, শুধুই ইতিহাস। আমি কোচের দায়িত্ব নেয়ার পরে মেয়েদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে বেশ কাজ করেছি। ’

‘বিশেষ করে তাদের ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলি, গত ১৭ দিন কক্সকাজারে অনুশীলনে আমরা টেকনিক থেকে শুরু করে বড় শটস নিয়েও বিস্তর কাজ করেছি। ফলও কিন্তু পেয়েছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেখানে বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ১১৭ রানের বেশি করতেই পারেনি সেখানে কক্সবাজারে খেলা ছয়টি পস্তুতি ম্যাচের তিনটিতে ওদের সংগ্রহ ছিল ১২৬, ১৩৯ ও ১৪৬। ব্যাটিংয়ে আমরা দারুণ উন্নতি করেছি। ’-যোগ করেন ক্যাপেল।

আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়া কাপের আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরমেটের। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে, পাকিস্তান ও ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহের জন্য ‘হার্ডহিটার’র কোন বিকল্প নেই, যা এতিদিন লাল-সবুজের প্রমীলা দলে অনুপস্থিত ছিল।

তবে কক্সবাজারে গেল ১৭ দিনের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দলে হার্ডহিটার সমস্যার সমাধান হয়েছে বলেও আশ্বস্ত করলেন ক্যাপেল, ‘বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং সবসময়ই আমার বিবেচনায় ছিল এবং আছে। এতদিন দলে কোন পাওয়ার হিটার না থাকলেও এই ক’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এখন দলে অনেকেই আছেন যারা ছয় হাঁকাতে ভয় পায় না। বিশেষ করে আমি আয়েশা রহমানের কথা বলবো। প্রস্ততি ম্যাচে সে ২০টি ছয় মেরেছে। ’

এদিকে, এবারের এশিয়া কাপকে সামনে রেখে কক্সবাজারে গেল ১৭ দিন অনুশীলনটা দারুণ হয়েছে বলে জানান ক্যাপেল। আর এই অনুশীলনে ভর করেই এশিয়া কাপে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

এশিয়া কাপে পাঁচ দলের বিপক্ষে ৫টি ম্যাচ সামনে রেখে ক্যাপেল সবচেয়ে বেশি ভাবছেন ভারত ম্যাচটিকে নিয়ে, ‘দল হিসেবে ভারত বেশ শক্তিশালী। আপনি যদি ওদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেন তাহলে দেখবেন ওরা টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারিয়ে দিচ্ছে। দলটির বিপক্ষে চলতি সিরিজে ওরা খুবই ভালো করছে। ’

এশিয়া কাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ দলটিও সম্পূর্ণই অন্যরকম। কোচ হিসেবে ক্যাপেল যেমন নতুন তেমনি অধিনায়ক হিসেবে রুমানাও। আর দুই নতুনের সংমিশ্রণে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ফলাফল অন্যরকম হবে বলেই আশা করছেন কোচ ক্যাপেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ২০ নভেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।