ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ জুন ২০২৪, ১৩ জিলহজ ১৪৪৫

ক্রিকেট

মার্চে যুবাদের বিসিএল

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
মার্চে যুবাদের বিসিএল ছবি: সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আগামী মার্চে বিসিএলের দ্বিতীয় আসর আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লংগার ভার্সন ক্রিকেটের এ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে চার দল।

বিসিএলের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে। ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শেষে বিসিএলে অংশ নেয় মিরাজ-শান্ত-সাইফুদ্দিনরা।

বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপের আগেই বিসিএল খেলার সুযোগ পাচ্ছে।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে বসবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। তার আগে বিসিএল ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিসিবির গেম ডেভেলপম্যান্ট কমিটির ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

বিসিএল শেষে এপ্রিলে দ্বিতীয় ধাপে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলন ক্যাম্প। তার আগে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়ালে সেখানে খেলবে সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুবসহ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ৫-৬ জন ক্রিকেটার।  

বিশ্বকাপের আগে সাইফ হাসানের দলকে অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ড সফরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান নাজমুল আবেদিন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন ‘মার্চে যুবারা ফোর ডে টুর্নামেন্ট, বিসিএল খেলবে। এপ্রিলে আবার ক্যাম্প শুরু করবো। চেষ্টা করবো একটা হোম সিরিজ আয়োজন করার। অফ-সিজনে চেষ্টা থাকবে যুব দলকে নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার। যাতে করে সারা বছরই ক্রিকেটের মধ্যে থাকতে পারে ছেলেরা। বাইরে ওরা কোথায় যাবে, কারা দেশে আসবে-এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সারা বছরব্যাপী একটি প্রোগ্রামের আওতায় থাকবে ওরা। ’   

‘বিশ্বকাপ যতো ঘনিয়ে আসবে প্রস্তুতি অতটাই দৃশ্যমান হবে। এ মুহূর্তে আমরা ওদের বেস তৈরি করার চেষ্টা করছি। আশা করছি তিন-চার মাসের মধ্যেই ভালো একটা ব্যালান্সড দল সামনে নিয়ে আসতে পারবো। এখান থেকে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় হয়তো জাতীয় দলের জন্য বেরিয়ে আসবে। ’-যোগ করেন নাজমুল আবেদিন।

.এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হার মানে বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলতে না পারলেও পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ নন নাজমুল আবেদিন। তার মতে আরো কিছু সিরিজ খেলতে পারলে দলটা ব্যালান্সড হয়ে উঠবে, ‘এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স খারাপ বলার সুযোগ নেই। শ্রীলঙ্কা ও ভারত দল তৈরি করে ফেলেছে অনেক আগেই। কয়েকটি ট্যুরও করেছে ভারত। আমরা সে অবস্থানে আসিনি। তবে সে পথে রয়েছি। সেদিক থেকে চিন্তা করলে কিছু কিছু ছেলেকে দেখেছি ভালো করতে। এটা কেবল শুরু। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এখান থেকে অনেক ভালো ভালো প্লেয়ার বেরিয়ে আসবে। এশিয়া কাপ খেলেছে একেবারেই নতুন একটা দল। এখানে মাত্র দুজন ক্রিকেটার আছে যারা গত বিশ্বকাপে খেলেছে। বাকি সবাই নতুন। বাকিরা সবাই অনূর্ধ্ব-১৭ দল থেকে এসেছে। ’ 

গত বিশ্বকাপ শুরুর আগেই মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ সাইফু্দ্দিন-এ নামগুলো পারফরম্যান্সগুণে পরিচিতি পেয়েছিল। এবারের দলে বড় নাম সম্পর্কে জানতে চাইলে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘দুটো নাম আমরা জানি, সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন। সাইফ গত বিশ্বকাপে খেলেছে। আফিফ বিপিএলে ভালো করে সবার দৃষ্টি কেড়েছে। আশা করবো অন্য যারা আছে পারফরম্যান্স দিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়বে; আমাদের বলতে হবে না কারো নাম। ’   

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।