ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাব্বিরের বিদায়ে বিপাকে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
সাব্বিরের বিদায়ে বিপাকে বাংলাদেশ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট হারিয়ে ৬৮৭ রানের পর তৃতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছয় উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম (৪৬) ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (২৪) ও মুমিনুল হক (১)। তবে দলীয় ১৭তম ওভারের সময় মুমিনুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হন তামিম।

৫৩ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ২৫ করেন বাঁহাতি এ ওপেনার।

তামিমের পর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনল হকও। ব্যক্তিগত ১২ রানে উমেশ যাদবের বলে এলবিডব্লিউর শিকান হন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ৩৬ বল মোকাবেলায় একটি চার হাঁকান তিনি।

৩৪তম ওভারে দলীয় শতক আসে বাংলাদেশের। এ সময় দুই ব্যাটনসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান ভারতীয় বোলারদের সতর্ক হয়ে খেলে দলীয় শতকে সাহায্য করেন। তবে দলের তিন অঙ্কের স্কোরের পর ক্রিজে টিকতে পারেননি রিয়াদ। ইশান্ত শর্মার প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন তিনি। ৫৭ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৮ রান করেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।  

দলীয় ৪৩ ওভারের সময় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এ সময় ১২৫ রান করে সফরকারীরা। ব্যাটিংয়ে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বিরতি থেকে ফিরে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। এটি তার ক্যারিয়ারের ২১তম হাফসেঞ্চুরি।

সাকিব ও মুশফিকের দারুণ ব্যাটিংয়ে দলীয় ২০০ রান আসে বাংলাদেশের। তবে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৮২ রানে অশ্বিনের বলে আউট হন সাকিব। ১০৩ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান বাঁহাতি এ তারকা। এর আগে মুশফিকের সঙ্গে তিনি ১০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।  

উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি সাব্বির রহমান। রবিন্দ্র জাদেজার বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। আর সাব্বিরের বিদায়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভারত রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে ৬৮৭ রানের স্কোর গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ডাবল সেঞ্চুরি (২০৪) আসে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি করেন তিনি। আর এ নিয়ে টানা চার সিরিজে চারটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি।

কোহলির পর দলীয় ইনিংস ঘোষণার সময় ১০৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে প্রথম দিন ওপেনার মুরালি বিজয়ও দলের হয়ে সেঞ্চুরি (১০৮) হাঁকান।

ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনই ভারতের ইনিংসে অন্তত হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। এছাড়া চেতশ্বর পুজারা (৮৩), আজিঙ্কে রাহানে (৮২) ও অপরাজিত থাকা রবিন্দ্র জাদেজা (৬০) হাফসেঞ্চুরি করেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সফল ছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি কোহলির উইকেট সহ তিনটি উইকেট তুলে নেন। দুটি উইকেট পান মেহেদি হাসান মিরাজ। একটি উইকেট দখল করেন তাসকিন আহমেদ।

বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সতর্কতার সঙ্গেই খেলতে থাকে। দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্য সরকার ভারতীয় বোলারদের বেশ মানিয়েই নেন। তবে দলীয় ১২ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছোট ভুলের মাশুল দিতে হয় সৌম্যকে। উমেশ যাদবের বলে খোঁচা দিলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন।  

আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি। কিন্তু পরে রিভিউ চাইলে তৃতীয় আম্পয়ারের নির্দেশনায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সৌম্য। তিনি ৩১ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ১৫ রান করেছিলেন। অন্যদিকে ৪৮ বলে তিনটি চারে ২৪ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন তামিম। মুমিনুল ১ রানে মাঠ ছাড়েন।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

ভারত একাদশ: মুরালি বিজয়, লোকেশ রাহুল, চেতশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কে রাহানে, উমেশ যাদব, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবিন্দ্র জাদেজা, ইশান্ত শর্মা ও ভুবনেশ্বর কুমার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।