প্রায় সাড়ে তিনশ’ রান করেও যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে পারা গেল না, সেখানে মূল টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জয় পাওয়া কতোটা কঠিন হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে পাকিস্তানকে ছোট করে দেখারও কিন্তু সুযোগ নেই।
দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, এ জয়ে ফাহিম-রাজার চেয়ে মাশরাফিদের অবদানই বেশি। বোলিং দৈন্যতা ও ক্যাচ মিসের যে মহড়া ওইদিন মাঠে দেখা গেছে, তাতে একথা বলা একেবারেই ভুল নয়। আর এর ফলে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গেছেন টাইগাররা।
হার কিন্তু হারই। সেটা যে ম্যাচেই হোক। অনেকেই হয়তো বলবেন, মোস্তাফিজ খেলেননি, তাই এমন হয়েছে। এ কন্ডিশনে একা মোস্তাফিজ আর কতোটুক কি করতে পারতেন?
অবশ্য এ হারের কারণে ৩০ মে’র দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠার মনোভাব ইতোমধ্যেই দলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। ফলে একটি চাপও অদৃশ্যভাবে তৈরি হয়ে আছে। সেই চাপ কাটিয়ে ভারতের বিপক্ষে টিম বাংলাদেশ যদি জয় পায়, তাহলে যতোটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে মূল পর্বে খেলতে পারবে, হেরে গেলে কিন্তু ততোটাই মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকে খেলতে হবে।
টানা দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচে হার অবশ্যই বড় ধরনের ধাক্কা হবে সেক্ষেত্রে।
চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফির মূল পর্বের প্রথম ম্যাচেই টাইগাররা মোকাবেলা করবেন স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে। যারা প্রথমত এগিয়ে কন্ডিশনের বিবেচনায়। আর দ্বিতীয়ত খেলার মধ্যে থাকায়। এই মুহূর্তে ইংলিশরা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে, যেখানে ইতোমধ্যেই সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা। মানে উড়ন্ত ফর্মে আছে।
বাংলাদেশের যে ব্যাটিং ও বোলিং লাইনআপ, তাতে এই মুহূর্তে উড়ন্ত ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতে পারবে কি-না- সে শঙ্কাটিও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
একই বাস্তবতা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও।
তবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হয়তো কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে মাশরাফি ও তার দল। কারণটিও সঙ্গত। মাত্রই ত্রিদেশীয় সিরিজে দলটির বিপক্ষে জয়ের তরতাজা স্মৃতি টাইগার শিবিরে। কিন্তু তারপরও মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসনরা স্কোর করে গেলে দলটির সামনে দাঁড়ানো বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
তাছাড়া বাংলাদেশের খেলার আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ এবং মূল পর্বে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলায় ওরা নিজেদের ভুলগুলো শুধরে উঠতে পারবে।
তাই চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফির গ্রুপ পর্ব উৎরে নকআউট পর্বে মাশরাফিরা খেলতে পারবেন কি-না- সে বিষয়টি ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজটি কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। তাই এখন দেখার বিষয়, টাইগাররা এই কঠিন কাজটিকে সম্ভব করতে পারেন কি-না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এইচএল/এএসআর