কয়েকদিন আগেও এজবাস্টনে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে টাইগাররা। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ওভালে এই হতাশাব্যঞ্জক লড়াই অনেকটাই বেমানান।
গত দুই বছর বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ নামক যে নতুন শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে, সেই দেশের কাছে এমন ধুসর ব্যাটিং ব্যাখ্যা মেলা ভার। ভারতের দেয়া ৩২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোহলিদের পেস তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না লাল-সবুজের ব্যাটসম্যানরা!
ইমরুল, সৌম্য, সাব্বির, সাকিব, রিয়াদ, রিয়াদ, সৈকত একজনও ব্যক্তিগত ১০ রানের সংগ্রহ নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারে নি! ভারতের বিপক্ষে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পরে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ।
ম্যাচে একমাত্র মিরাজই যা লড়লেন। তাঁর ২৪ রানের সুবাধে বাংলাদেশের ইংনিস থেমে যায় ৮৪ রানে। ২৩.৫ ওভারে গুটিয়ে গিয়ে মেনে নিতে হল ২৪০ রানের বড় হার। এর ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল পর্বের শুরুটা মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকেই করতে হচ্ছে টাইগারদের।
ভারতের হয়ে বল হাতে ভুবনেশ্বর কুমার ও উমেষ যাদব ৩টি করে এবং মোহাম্মদ শামি, হার্ডিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বীন ও জাসপ্রিত বুমরা নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০মে) কেনিংটন ওভালে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সাকিবের দল। দলীয় ২১ রানে রোহিত শর্মা ও আজিঙ্কা রাহানেকে প্যাভিলনে ফেরত পাঠিয়ে ভালো শুরু উপহার দিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ান ও দিনেশ কার্তিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উল্টো চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
৭৭ বলে ব্যক্তিগত ৯৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যায় কার্তিক, সানজামুলের বলে ব্যক্তিগত ৬০ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন শিখর ধাওয়ান। আর হার্ডিক পান্ডিয়া খেলেন ৫৪ বলে ৮০ রানের এক ধ্বংসত্মক ইনিংস। তাতেই ৫০ ওভারে দলটির সংগ্রহ এল ৭ উইকেটে ৩২৪ রান।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে রুবেল হোসেন ৩টি, সানজামুল ইসলাম ২টি ও মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
স্থানীয় সময়: ২৩৩৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এইচএল