কেউ বিক্রি করছেন হিজাব, কেউ সালোয়ার কামিজ, জামা-কাপড়, শাড়ি, চুড়ি, কেউ ফলমূল কেউ বা মোবাইলের যন্ত্রাংশ।
গত দশ দিনে ইংল্যান্ডের অনেক রাস্তা দেখেছি কিন্তু কোথাও এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি।
ভদ্রলোক বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উত্তর দিলেন, এগুলো সবই বাংলাদেশের মানুষের। বেশির ভাগই সিলেটি।
রাস্তায় দোকান নিয়ে বসলে কেউ কিছু বলে না? তিনি বললেন, না। ওরা স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই দোকানগুলো চালায়। তাছাড়া ওদের বেচা-কেনা চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৬’টায় এসে দেখবেন একটি দোকানের চিহ্নও নেই।
বাহ, ভাল তো! এতো দেখি ঢাকার ফুটপাতের মতো। তিনি আমাকে থামিয়ে দিয়ে সম্মতিসূচক উত্তর দিয়ে বললেন, হ্যাঁ, অনেকটাই ওই রকম। আমরা যারা বাংলাদেশি এখানে থাকি তারা এই মার্কেটটিকে লন্ডনের গুলিস্তান বলে ডাকি। এখানে কম দামে সব রকমের পণ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া দোকান ছোট হলেও প্রতিটিতেই প্রচুর পণ্যের সরবরাহ আছে।
তার কথা শুনে আমিও হেঁটে হেঁটে দোকানগুলো দেখলাম। ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানগুলো বেশ সরগরম। যে যা পারছেন সাধ্যমত কিনছেন। ক্রেতারা সবাই বাংলাদেশি নন, অনেকেই আছেন স্থানীয় ইংলিশ।
ঢাকা থেকে লন্ডনে এসে ঢাকার ছোঁয়ায় মনের মধ্যে কেমন যেন ভালো লাগা কাজ করতে লাগলো। আহা! ঢাকা। প্রিয় ঢাকা। কতদিন দেখিনি!
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এইচএল/এমজেএফ