সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হেইডেনের সঙ্গে বিদ্বেষের মাত্রাটা কোন পর্যায়ের ছিল সেটিই প্রকাশ করেছেন শোয়েব। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে একটি ছবি শেয়ার করেছেন।
তবে ব্যাপারটি যে উপভোগ করতেন তাও কিন্তু নয়। ব্যতিক্রম ছিল কেবল একজনের বেলায়। কে হতে পারে ভক্তদের জন্য সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন টুইটের শেষদিকে। পরে নিজেই এটি জানিয়ে দেন, ‘এটা ছিল ম্যাথু হেইডেন যাকে খেলোয়াড়ী জীবনে আমি বাজেভাবে আঘাত করতে চাইতাম এবং টেস্ট ও প্র্যাকটিস ম্যাচে অনেকবার করেছি। ’
খেলোয়াড়ী জীবন অতীত। পুরনো তিক্ততা ভুলে এখন দু’জন ভালো বন্ধু। সেটি জানাতেও ভোলেননি ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’, ‘এখন আমরা সেরা সঙ্গী এবং আমি মনে করি যাদের সঙ্গে জীবনে সাক্ষাৎ হয়েছে উদারতা ও ভালো মানুষ হিসেবে হেইডেন তার মধ্যে অন্যতম। ’
কিন্তু, এমন রেষারেষি থাকার কারণটা কী ছিল? দু’জনের দ্বন্দ্বের সূত্রপাতটা হয় ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে যখন হেইডেন পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন। আখতারকে স্লেজিং করার চেষ্টা করতে গিয়ে শরীরের উপরিভাগ ও হেলমেটে বলের আঘাতের শিকার হতে হয়েছিল তাকে।
এখানেই তাদের মধ্যকার তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেমে থাকেনি। শারজায় ২০০২ সালে হেইডেনের সেঞ্চুরি করার পর এবং ২০০৪-০৫ সময়ে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরেও এটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
শোয়েব আখতার ও ম্যাথু হেইডেনের মধ্যকার এমনই একটি তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভিডিও তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ২৭ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম