বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়, ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন লিমিটেডে (ওএনজিসি) ম্যানেজার পদে চাকরি করেন কোহলি। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
লোধা কমিটির চাপে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাবলিক সেক্টরে চাকরি করা সব ক্রিকেটারদের চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে, পাবলিক সেক্টরে কোহলি ছাড়াও চাকরি হারাতে চলেছেন রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে ও ইশান্ত শর্মা। এছাড়া, দেশের প্রায় ১০০ ক্রিকেটার চাকরি ছাড়ার নির্দেশ পেতে পারেন।
বিসিসিআইয়ের সূত্রটি জানান, ‘ওএনজিসির হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। বীরেন্দর শেওয়াগ, গৌতম গম্ভীরদের মতো আরও অনেক ক্রিকেটার ওএনজিসিতে চাকরি পেয়েছেন। সাম্মানিক পদে চাকরির সুবাদে তারা কোম্পানিটির হয়ে চ্যারিটি ম্যাচ ছাড়াও বাৎসরিক আয়েজিত ম্যাচ খেলেছেন। বোর্ডের কাছে এটা সঠিক কোনো পথ বলে মনে হচ্ছে না। এ নিয়ে বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ তবে শুধু ক্রিকেটার নয়, খেলোয়াড় ছাড়াও বোর্ড আধিকারিকরাও যাতে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে না-পড়ে সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে৷’
ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা খেলোয়াড়রা ছাড়াও জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই সরকারি অথবা পাবলিক সেক্টর কোম্পানিতে চাকরি করছেন। ওএনজিসি ছাড়াও রেলওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়া, এইচপিসিএল, ইন্ডিয়ান ওয়েল, এফসিআই, বিএসএনএল, ইনকাম ট্যাক্স-সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে সাম্মানিক পদে চাকরি করেন ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ২৭ জুলাই ২০১৭
এমআরপি