বিশ্বসেরা না হলেও বিশ্বমঞ্চ মাতিয়ে ঘরে ফিরেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে মিতালির দল।
সাদা পোশাকে মিতালি ১০টি ম্যাচ খেললেও ওয়ানডে জার্সিতে ভারতের হয়ে খেলেছেন ১৮৬ ম্যাচ। প্রথম কোনো নারী ক্রিকেটার হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এছাড়া, নারীদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এক নম্বরে তিনি (৬ হাজার ১৯০ রান)। মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৪৯টি অর্ধশতকও এসেছে মিতালির ব্যাট থেকে।
সাদা পোশাকের ম্যাচে ১৬ ইনিংস ব্যাট করে মিতালি করেছেন ৬৬৩ রান। যেখানে একটি সেঞ্চুরি আর ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ব্যাটিং গড় চোখ কপালে তোলার মতো, ৫১.০০। এখানেই মিতালির ব্যাটিং নৈপুণ্য শেষ নয়। তিনবার টেস্টে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে যে সেঞ্চুরিটা এসেছে সেটা ডাবল সেঞ্চুরির বিস্ফোরক এক ইনিংস। অভিষেকের বছরই ক্যারিয়ার সেরা ২১৪ রান করেছেন তিনি। মাত্রই তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে মিতালি ২০০২ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন সেই বিস্ফোরক ইনিংসটি, যা সাজানো ছিল ৪০৭ বলে ১৯টি বাউন্ডারিতে। এটি মেয়েদের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২৪২ রান করে দুই বছর পরই (২০০৪) মিতালিকে পেছনে ফেলেন পাকিস্তানের কিরন বালুচ।
সবশেষ মিতালির টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে ২০১৪ সালের নভেম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ সাদা পোশাকে নেমেছিলেন মিতালি। ১০ বছরে ভারত খেলেছে মাত্র ৫টি টেস্ট!
মিতালি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাত্র ১০টি টেস্ট খেললেও সর্বোচ্চ ২১টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৭৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত খেলা সুধা শাহ। ঠিক একই সময় ভারতীয় নারী দলে খেলে সাদা পোশাকে ২০টি ম্যাচ খেলেছিলেন ডায়না আদুলজি। একটি ম্যাচ কম খেলেছেন সুধা-ডায়নাদের সতীর্থ সুভাঙ্গি কুলকার্নি।
ভারতীয় মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটে মিতালি ১১তম দলপতি। তার আগে যে দশজন ক্রিকেটার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২টি ম্যাচে দলপতির দায়িত্ব পালন করেন সান্থা রাঙ্গাসোয়ামি। ৬ ম্যাচে দলপতির দায়িত্ব পালন করা মিতালি দ্বিতীয়। তবে, ছয় ম্যাচের তিনটিতেই জয় তুলে নেয় মিতালির দল। একটি ম্যাচ হারলেও বাকি দুটি ম্যাচে ড্র করে মিতালির সতীর্থরা। জয়-পরাজয়ের হিসেবে ভারতীয় নারী দলের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ টেস্ট ম্যাচ মিতালির নেতৃত্বেই জিতেছে ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই ২০১৭
এমআরপি