স্টেডিয়ামের জলাবদ্ধতা এতটাই প্রকট যে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেও পানি শুকানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। সঙ্গত কারণেই ম্যাচটি মাঠে গড়ানোরও সম্ভাবনা নেই।
তাই ইতোমধ্যেই বিকল্প ভেন্যু ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গ্রাউন্ডস কমিটি। আর বিকল্প হিসেবে তাদের কাছে অগ্রাধীকার পাচ্ছে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
শনিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে তেমনই আভাস দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভূঁইয়া। বিষয়ের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি জানান, ‘মাঠ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমাদের হাতে অনেক মাঠ আছে। দুই দিনের নোটিশেই প্রস্তুত করা যাবে। বিকল্প হিসেবে বিকেএসপিতেও ম্যাচ আয়োজন করা যেতে পারে। তাছাড়া বোর্ড যদি মনে করে মিরপুরে প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করবে, সেটাও হতে পারে। কেননা এখানে সেই ধরনের সব সুযোগ-সুবিধাই আছে। ’
তিনি আরও জানান, মিরপুরে বেশ কয়েকটি উইকেট আছে। তাছাড়া এই ধরনের একটা ম্যাচের প্রচারে মিডিয়ার অনেক বড় একটা সমর্থন দরকার। দর্শকদেরও একটা চাহিদা আছে। অনুশীলন ম্যাচ হলেও যেহেতু প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া তাই ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য এলাকা থেকে প্রচুর দর্শক সমাগম হবে। ’
‘আমরা বিকেএসপিতে এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবো না। আমাদের বয়সভিত্তিক ও এইচপি দলে যেসব খেলোয়াড় আছে তাদের জন্যও ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারবে। শুধু তাই না, বিদেশি যেসব মিডিয়া আসবে তাদের লজিস্টিক সাপোর্টও আমাকে দিতে হবে। তারা তো আমাদের মেহমান। মেহমানকে আমি কীভাবে যত্ন নিলাম সেটাও দেখার বিষয়। ’ যোগ করেন হানিফ ভূঁইয়া।
এদিকে দশ বছর পর চলতি বছরের মার্চে শুরু হয়েছিল মিরপুর শের-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ। যা এরই মধ্যে শেষ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গ্রাউন্ডস কমিটি। এখন চলছে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। তবে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই মাঠটি ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে দাবী করছেন হানিফ, ‘মিরপুর স্টেডিয়াম প্রস্তুত। যে কোনো সময় আমরা খেলা আয়োজন করতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি