গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত খেলা এই চারটি টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচে দারুণ দুটি জয় এসেছে টাইগার শিবিরে। একটি ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে।
রোববার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ মাধ্যমকে সাকিব জানান, ‘প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি ম্যাচ ও প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জিং। আমরা সেই জিনিসগুলো জানি এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা প্রস্তুত। ’
মোটামুটি লম্বা একটি বিরতির পর আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। নতুন এই মৌসুমে কী করতে চাইবেন? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিবের উত্তর, ‘অবশ্যই আরও উন্নতি করতে চাই। সেটা প্রতিটি ক্ষেত্রেই। উন্নতির তো শেষ নেই। তবে চেষ্টা করবো গত বছরের চেয়ে আরও ভালো করার। যেহেতু এ বছর টেস্টে সময়টা ভালো যাচ্ছে, সেহেতু চেষ্টা করবো ওটা আরও ভালো করে চালিয়ে যেতে। আর যে জায়গাগুলোতে আমার মনের মতো পারফর্ম হয়নি, সে জায়গাগুলোতে আরও ভালো করার চেষ্টা করবো। ’
২০০৭ সালের মে মাসে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা সাকিব ইতোমধ্যেই খেলেছেন ৪৯টি টেস্ট। দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে এলেই পূর্ণ হবে তার ৫০তম টেস্ট। বিষয়টি অনেকটা মাইলফলক স্পর্শ করার মতই। তবে সাকিব সেভাবে ভাবছেন না। তাছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে ৫০টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে তার খুব বেশি দেরি হয়েছে বলেও তিনি মনে করছেন না।
সাকিব আরও জানান, ‘কয়েকবছর আগের কথা চিন্তা করলে এতদিন হয়তো ৩০টি টেস্ট খেলা হতো। সে হিসেবে ৫০ টেস্ট ভালো। ওই রকম কোনো লক্ষ্য বা চিন্তা নেই। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের জন্য প্রতিটি ম্যাচ খেলাই বড় ব্যাপার। আশা করি অস্ট্রেলিয়াও আসবে, আমিও ফিট থাকবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ৩০ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি