রোববার (২৪ ডিসেম্বর) মিরপুরে ক্রিকেট একাডেমিতে উত্তরসূরিদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন মাশরাফি। অনুজদের অভয় দিলেন, বাতলে দিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুপ কন্ডিশনকে জয় করে বিশ্বকাপ মঞ্চে তাদের কীভাবে লড়তে হবে।
আবহাওয়া ও উইকেটের সাথে খাপ খাইয়ে বোলাররা কীভাবে নিজেদের সেরাটা দেবেন এবং ব্যাটসম্যানরা কীভাবে তাদের ব্যাটিং পরিকল্পনা করে মাঠে তার সফল বাস্তবায়ন ঘটাবেন তাও তুলে ধরেছেন।
অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সময় অনুজদের সঙ্গে অনেক কথাই বলেছেন মাশরাফি। তবে সেখানে চাপ সৃষ্টিকারি একটি শব্দও ছিল না। একটিবারের জন্যও অনুজদের বলেন নি, তাদের ন্যূনতম সেমিফাইনালে খেলতে হবে। কিংবা শিরোপা জিততে হবে।
বরং তাদের বলেছেন কোন চাপ না নিয়ে আনন্দের সঙ্গে পুরো বিশ্বকাপ খেলে আসতে, ‘যেটা বলেছি মানসিকভাবে শক্ত থাকতে। কারণ ওখানে যেয়ে চিন্তা করতে পারে ওয়েদার, উইকেট কন্ডিশন সবকিছু আমাদের বিরুদ্ধে। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের জাতীয় দল যখন যায় এটাই নরমাল থাকে। ওদেরকে বলেছি মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতে। অ-১৯ এমন একটা সময় আমি বুঝি ওরা যত ফ্রি ক্রিকেট খেলবে যত এনজয় করবে ততই ভালো। আমাদের সেমিফাইনালে যেতে হবে বা বিশ্বকাপ জিততে হবে এই প্রেসারটা ওদেরকে না দেয়াই শ্রেয়। ওরা যেন ফ্রি ক্রিকেট খেলতে পারে এটাই ওদেরকে বলেছি। ’
মাশরাফি এমনই এক দলপতি যার কৌশলের কাছে হার মেনে গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়েনি বিশ্ব ক্রিকেটে এমন দল বোধ হয় খুব কমই পাওয়া যাবে। যার অনুপ্রেরণায় পুরো লাল-সবুজের দল হয়ে উঠে প্রানবন্ত। তার নেতৃত্বে অর্ধঘুমন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ জাগ্রত। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিন বদলের অধিনায়ক তো তিনিই।
সেই মাশরাফিই আজ পরামর্শ দিলেন অনুজদের। দেখা যাক, তার এমন পরামর্শে সাইফ-আফিফরা কতুটুকু অনুপ্রাণিত হন। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো কিছু করতে সেটা হতে পারে অভাবনীয় কিছু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম