আরও পরিষ্কার করে বললে মোস্তাফিজুর রহমান। আর কোন পেসারই অজিদের উইকেটের পাশে নিজের নাম লেখাতে পারেননি।
পরের সিরিজে দ. আফ্রিকার পেস বান্ধব উইকেটেও বল হাতে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি মোস্তাফিজ-তাসকিনদের। সিরিজে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের মোট ৩০টি উইকেট শিকারে সক্ষম হয়েছিল সফরকারী। যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাতে পারেননি পেসাররা। ভাগ বসিয়েছিলেন সাকিব, মুমিনুল ও মিরাজও। পেস সহায়ক উইকেটে পেসারদের নির্বিষ বলেই গ্লানির হোয়াইটওয়াশ নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে টিম বাংলাদেশকে।
সঙ্গত কারণেই আর কালবিলম্ব না করে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজেই জ্বলে উঠতে চাইছে দলের পেস বোলিং ইউনিট।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের গতিতারকা তাসকিন আহমেদ।
তাসকিন বলেন, ‘শেষ দুটি সিরিজ আমাদের ভালো যায়নি। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা বোলারদের জন্য খুব খারাপ ছিল। আশা করি আমরা পরবর্তী সিরিজে ফিরে আসব। সবাই হার্ডওয়ার্ক করছে। তাগিদটাও সবার বেশি। সেজন্য আউটকামও ভালো হবে। ’
তাসকিন এসময় কথা বলেন আসন্ন ট্রাইনেশন ও শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুরে চলমান অনুশীলন ক্যাম্প নিয়েও। যেখানে বর্তমানে টেলএন্ডারদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
শুধু ব্যাটসম্যানরাই নন, ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে নিচের দিকের ব্যাটসম্যান অর্থাত বোলারদেরও ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখার প্রয়োজন আছে। সেই ভাবনা থেকেই এমন প্রশিক্ষণ।
আর ব্যাটিং প্র্যাকটিসের বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন তাসকিন। আশা করছেন তাদের ব্যাট থেকেও রান অাসবে, ‘অনেক ক্লোজ ম্যাচে বোলারদেরও ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখতে হয়। যদি ১৫/২০টা রান করতে পারি লোয়ার অর্ডারে তাহলে দলের লাভ হবে, জেতার সম্ভবনাও বাড়বে। পজিটিভ খেলার অনুশীলন করছি। যেটা বাজে বল ওটাকে পানিশ করা। উল্টাপাল্টা না। বেসিকে সোজা খেলা। বোলারদেরও ভালো ব্যাটিং দেখতে পাবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম