তবে এই অংক আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি তার নামে একটি সতর্কতা পত্র (ওয়ার্নিং লেটার) ইস্যু করা হয়েছে।
বিসিবি মনে করে রঙিন পোশাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আরও সতর্ক হয়ে কথা বলা উচিত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর বেক্সিমকোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
পাপন বলেন, ‘শক্ত আর্থিক শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তামিমেরটা পুরো ভিন্ন। ওর কথাবার্তা আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিব্রতকর। এটা আমাদের ক্রিকেটের প্রচুর ক্ষতি করতে পারে বা পারতো। এজন্য আমরা মনে করি সহ-অধিনায়ক হিসেবে মিডিয়ার সামনে তার কথা বলায় আরও সতর্ক হতে হবে। ’
পাপন আরও বলেন, ‘একটা পিচ নিয়ে কথা হতেই পারে। যে এটা আদর্শ উইকেট না টি-টোয়েন্টির জন্য। টি-টোয়েন্টিতে যে ধরনের উইকেট দরকার ছিল এটা সেটা না। তাই ঠিক আছে। কিন্তু আপনি আউটফিল্ড নিয়ে কথা বলবেন কেন। আউটফিল্ডের কি সমস্যা হয়েছে? আপনি কিউরেটর নিয়ে কথা বলবেন কেন। ইতোমধ্যে আমাদের আউটফিল্ড দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে বসে আছে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে শেষ খেলায়। চারটা হলে ঢাকা শহরে তো আর খেলা হবে না। এটা কি ধরনের কথাবার্তা। একটা অধিনায়ক তো এ ধরনের কথা বলতে পারে না। তাকে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। ’
উল্লেখ্য গেল ২ ডিসেম্বর বিপিএলে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বে কুমিল্লার অধিনায়ক তামিম উইকেটকে ‘হরিবল’ বলেছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টির জন্য এই উইকেট ‘জঘন্য’। পাশাপাশি শের-ই-বাংলার আউটফিল্ড ও কিউরেটরের সমালোচনাও করেছিলেন তামিম।
তামিমের মন্তব্যে নাখোশ হয়ে ১২ ডিসেম্বর বিসিবি তাকে শুনানিতে ডাকলে তিনি তার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ১ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস