অসাবধানতাবশত নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ খেয়ে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে ইরফান পাঠানের বড় ভাইকে। ঘরোয়া ক্রিকেটের বাইরে থাকবেন ২০১২ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, ‘২০১৭ সালের ১৬ মার্চ ঘরোয়া টি-২০ প্রতিযোগিতা চলার সময় বিসিসিআই’র অ্যান্টি-ডোপিং টেস্টিং প্রোগ্রামের কাছে ইউরিন স্যাম্পল (প্রস্রাবের নমুনা) দিয়েছেন মি. পাঠান। পরবর্তীতে তা পরীক্ষা করা হয় এবং টার্বুটালিনের (কাশির সিরাপ) অস্তিত্ব পাওয়া যায়। টার্বুটালিন একটি নির্দিষ্ট পদার্থ, যেটি প্রতিযোগিতার ভেতরে ও বাইরে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াদা) নিষিদ্ধ ড্রাগের তালিকাভুক্ত। ’
গত বছরের অক্টোবরে বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি-ডোপিং রুলসের (এডিআর) আর্টিক্যাল ২.১ অনুযায়ী, পাঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অ্যান্টি-ডোপিং রুল লঙ্ঘন কমিশন (এডিআরভি)। শাস্তি ঘোষণা বিলম্বের কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তখন আরোপ করা হয়নি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঠান নিজের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। এডিআরভি’কে বলেন, তার চিকিৎসায় নির্ধারিত ঔষধের পরিবর্তে ভুলবশত টার্বিটালিন দেওয়া হয়েছিল। ’
‘বিসিসিআই পাঠানের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়েছে যে, তিনি উচ্চ শ্বাসনালীর সংক্রমনের কারণে ভুলবশত টার্বিটালিন সেবন করেছেন। পারফরম্যান্স ভালো করার ড্রাগ হিসেবে নয়। সকল প্রমাণ ও বিশেষজ্ঞের বাইরের পরামর্শ নিয়ে বিসিসিআই পাঠানের ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছে। এর উপর ভিত্তি করেই তার ওপর পাঁচ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ’-যোগ করা হয় বিবৃবিতে।
প্রসঙ্গত, ইউসুফ পাঠানকে ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (আইপিএল)। নিলামে তার ভাগ্য নির্ধারিত হতো। বেঙ্গালুরুতে অাগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি খেলোয়াড়দের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ডোপিং নিষেধাজ্ঞায় এবার তাকে দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে। আগামী ৪ এপ্রিল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক জমজমাট টি-২০ টুর্নামেন্টটির পর্দা ইঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম