বুধবার (১০ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে তার এই লক্ষ্যের কথা জানান।
গেল বছরের ১৯ মে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের।
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে বল হাতে ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গেল মৌসুমে আবাহনীর হয়ে ৪ ম্যাচে ২ উইকেটের পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) রাজশাহীর হয়ে ২ ম্যাচে শিকার করেছেন ৬ উইকেট। এদিকে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ৭.২৬ গড়ে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ১১ উইকেট থলিতে পুড়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সেই পারফরম্যান্সেই প্রায় ৮ মাস পরে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে আবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সানজামুল। আর এই সিরিজ দিয়েই জাতীয় দলে নিজের জায়গাটি পাকাপোক্ত করতে চাইছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হতাশা না আসলে। আমি ওখানে একটা ম্যাচ খেলার পর আর সুযোগ পাইনি কন্ডিশনের কারণে। আমি বাইরে বসে থেকে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। ওটা অ্যাপ্লাই করে এখন সুযোগ পেয়েছি সো দ্যাট, এখন যেন আমি ভালো কিছু করতে পারি। দলে এখন নিয়মিত ক্রিকেটার হতে পারি। এটা আমার টার্গেট। ’
সানজামুল জাতীয় দলে তখনই নিয়মিত হবেন যখন তিনি তিন জাতির এই টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে জায়গা পাবেন। আর সেটা তিনি ভাল করেই জানেন। জানেন বলেই সেদিকেই সবার আগে নিশানা তাক করেছেন।
‘এটা তো অবশ্যই টার্গেট থাকবে। আমার লক্ষ্য যে এগারজনে থাকা এবং ওখানে থেকে ভালো খেলে দলে নিয়মিত থাকা। ’-যোগ করেন সানজামুল
সাকিব আল হাসানের সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাঁহাতি স্পিনারদের মূল প্রতিযোগিতাটি ছিল নাজমুল ইসলাম অপু ও সানজামুল ইসলাম। কন্ডিশন বিবেচনায় অপুকে না ডেকে নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন সানজামুলের ওপরে।
এখন দেখা যাক, আস্থার প্রতিদান তিনি কতটুকু দিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস