ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন সুজন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন সুজন ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এ দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের একটি গোষ্ঠীর আচরণে মনে হয়, খালেদ মাহমুদ সুজন তাদের চক্ষুশূল! বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে দায়িত্বই তাকে দেয়া হোক না কেন কটুক্তি করতে এক মুহূর্তও দ্বিধা বোধ করেন না। এর শুরুটা হয়েছিল ২০০৩ সালে যখন তাকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক করা হয়।

নিন্দুকের সেই নিন্দা অব্যাহত থাকলো এক যুগেরও বেশি সময় পর তার কোচিং নিয়েও। ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি যখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেন খালেদ মাহমুদই এই দুই সিরিজে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন কোচ তখন ক্রিকেট পাড়ায় অনেক ধরণের সমালোচনাই শোনা গেছে।

অজানা কোন এক কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিসিবি জানালো অন্তবর্তীকালীন কোচ নয়, টাইগারদের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। যদিও ঘুরিয়ে পেচিয়ে তা কোচের দায়িত্বই। এখানেও তার সমালোচনায় অনেকেই সরব। তাকে দিয়ে আদৌ ইতিবাচক কোন ফলাফল আসেবে কী না তা নিয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

সেই সমালোচকদের উদ্দেশেই সরব হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, কোচ, সংগঠক, ম্যানেজার ও নির্বাচক, ‘আমি বোর্ড রুমে ঢুকি, তখন আমি বোর্ড পরিচালক থাকি। আমাকে অন্য যে দায়িত্ব দেয়া হয়, আমি তা চেষ্টা করি ভালোভাবে করতে। পারি বা না পারি, সফল হই বা না হই, সেটা অন্য ব্যাপার। আমি কোনো বিতর্কে যেতে চাই না। আমি মনে করি কোচিং আমার পেশা। আমি এটা উপভোগ করি। ২০০৬ সালে খেলা ছাড়ার চার মাস পর থেকেই আমি কোচিং শুরু করি। অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায় থেকে সব পর্যায়েই আমি কোচিং করিয়েছি। সুতরাং আমার কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আমি ভালো কোচ নাকি খারাপ, তা মানুষ বলবে। কিন্তু কোচিং করানোটাই আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। ’

সুজন আরও যোগ করেন, ‘আমি টিম ম্যানেজার ছিলাম, তখন এটাকেই লাভবান মনে করা হয়েছিল। আমি জানি না, সেটা কতটা হয়েছিল। আমার যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও আছে, যেহেতু আমি বাংলাদেশ দলে খেলেছি। অধিনায়কও ছিলাম এক সময়। সুতরাং কিছু অভিজ্ঞতা ছিলই। কিন্তু আমি যখন ৮৩ বা ৮৪ সালের দিকে ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন থেকে একটা দিনের জন্যও আমি ক্রিকেটের বাইরে থাকিনি। ক্রিকেটই আমার সব কিছু। ক্রিকেটই আমার জীবিকা। ক্রিকেট ছাড়া নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন। ’

বাংলাদেশসময়: ২০০০ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।