ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশের দলীয় শতক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
বাংলাদেশের দলীয় শতক ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং তোপে ৪৯ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন টাইগার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। বিজয় বিদায় নিলেও তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা সাকিব তামিমের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলকে শত রান এনে দেন।

এ রিপোর্ট খেলা পর্যন্ত ১৮ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০২ রান। তামিম ইকবাল ৩৬ ও সাকিব আল হাসান ৩৭ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন।

সিকান্দার রাজার বলে শন আরভিনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। ১৪ বলে চারটি চারে ১৯ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামা বিজয় অবশ্য মারমুখি খেলে বিদায় নেন।

এর আগে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে চলে স্বাগতিক বোলারদের দাপট। কোনঠাসা সফরকারীরা নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেনি। প্রথম ওভারেই সোলোমন মায়ার (০) ও ক্রেইগ আরভিনকে (০) সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। ইনিংসের প্রথম বলে মায়ারকে স্ট্যাম্পিং করে ব্রেকথ্রু এনে দেন মুশফিক। সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হন আরভিন।

অভিজ্ঞ ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৫) মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে উইকেটের খাতায় নাম লেখান মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৩০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখেই পড়ে সফরকারীরা। দলীয় ৫১ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মুশফিকের রহিমের গ্লাভসবন্দি হন ব্র্যান্ডন টেইলর (২৪)।  আর স্পিনার সানজামুল ইসলামের বলে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যালকম ওয়ালার (১৩)।

রান আউটের মাধ্যমে বিদায় নেন সফরকারীদের হাল ধরা সিকান্দার রাজার। ৯৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করে বিদায় নেন তিনি। রুবেল হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে বিদায় নেন দলটির অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। এ সময় সপ্তম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাকে ফিরিয়ে ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।

৪৮তম ওভারে পর পর দুই বলে পিটার মুর (৩৩) ও তেন্দাই চাতারাকে (০) বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রুবেল হোসেন। কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানিকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটের পতন ঘটান মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাকিব। রুবেল ও মোস্তাফিজ দুটি করে উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান মাশরাফি ও সানজামুল।  


মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯৯তম ওয়ানডে এটি। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি।

হোম কন্ডিশন, প্রতিপক্ষের শক্তি, নিজেদের পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা সবকিছু মিলিয়ে অধরা ট্রফি জয়ের এটাই সেরা সুযোগ। কখনোই ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা না জেতার আক্ষেপ ঘোঁচাতে চোখ রাখছে মাশরাফির দল। আগামী ১৯ জানুয়ারি হাইভোল্টেজ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের শিরোপা নির্ধারণীতে লঙ্কানদের কাছে ২ উইকেটে হারের হতাশায় ডুবেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এবার প্রথমবারের মতো শিরোপা দেশে রেখে দিতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাঞ্জামুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সোলোমন মায়ার, ক্রেইগ আরভিন, ব্র্যান্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), সিকান্দার রাজা, ম্যালকম ওয়ালার, পিটার মুর, তেন্দাই চাতারা, গ্রায়েম ক্রেমার, কাইল জার্ভিস, ব্লেসিং মুজার্বানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।