বিশ্বের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ১০০ ওয়ানডের অভিজাত তালিকায় প্রবেশ করেছে মিরপুর স্টেডিয়াম। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ছাড়াই ঐতিহাসিক ম্যাচ আয়োজন।
দু’দিন আগে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচটি ছিল ৯৯তম। জিম্বাবুইয়ানদের উড়িয়ে দিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম শিরোপা মিশনে দুর্দান্ত শুরু পায় মাশরাফির দল। ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সাবেক কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে মোকাবিলা করবে টাইগাররা। যেটি হবে মিরপুরে ১০১তম ওয়ানডে।
একদিক থেকে আগের পাঁচ ভেন্যুকে ছাড়িয়ে গেছে মিরপুর। সবচেয়ে কম সময়ে একশ’ ওডিআই ম্যাচ গড়ালো মাঠটিতে। সময় লেগেছে মাত্র ১১ বছর। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে এর পথচলা শুরু।
স্মৃতিময় প্রিয় হোম ভেন্যুতে অনেক সাফল্য উদযাপন করেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ তে সিরিজ জয়, ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের শুরুটা হয়েছে এখান থেকেই। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় টেস্ট জয়েরও সাক্ষী মিরপুর।
এখন পর্যন্ত মিরপুরে ৯৯টি ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ৮৪ ম্যাচ। জয় ৪০টিতে (৪৩ হার, এক ম্যাচ পরিত্যক্ত)।
সবচেয়ে বেশি ২৩১টি ওডিআই ম্যাচ আয়োজন করে সবার ওপরে শোভা পাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু। ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫৪ ম্যাচে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
তিনে রয়েছে অজিদের আরেক ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)। এই মাঠেই ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ১৯৭১ সালে শুরু হয়ে এমসিজিতে এ পর্যন্ত ১৪৮টি ওয়ানডে দেখা গেছে।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ১৯৯২ সাল থেকে ১৩৬টি ওয়ানডে উপভোগ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাঁচ নম্বরে শ্রীলঙ্কার আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। ১৯৮৬ সাল থেকে আজ অবধি ১২৪টি ম্যাচ গড়িয়েছে সেখানে। এবার ১০০ ওয়ানডের এলিট লিস্টে নাম লেখানোর গৌরব অর্জন করলো মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম