কিন্তু আশার কথা হলো, টাইগার শিবিরের কোনো সদস্যকেই এমন আতঙ্ক গ্রাস করেনি। বরং তারা আগের মতোই নির্ভীক আছেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
‘এটা আসলে ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করে। তবে আমরা সবাই একসাথে বসেছি, কথা বলেছি। আমার তো মনে হয় না যে এটা ভয়ের কোন কারণ। কারণ ৭০, ৮০, ৯০ রানে যদি আমরা প্রতিদিন অলআউট হই, তখন হয়তো আমাদের এবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এখন ৮০ রানে অলআউট হবার পর আমি যদি ভাবি যে কালকেও দেড়শো রানে অলআউট হবো, তাহলে তো আসলে আমরা যে পরের ধাপে যেতে চাচ্ছি, সেটা থেকে কিন্তু অনেক দূরে চলে যাব। তাই আমি মনে করি ইতিবাচক চিন্তা করাই উচিত। ’
‘ওরা কালকে যেভাবে এগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলেছে, বোলিংটা করেছে, আমরা ঠিক পাল্টাটা করতে পারিনি। আমরা হয়তোবা কোন কারণে পিছিয়ে ছিলাম। হয়তোবা কাউন্টার অ্যাটাক করতে পারলে হয়তো দেখতে পারতাম যে আসলে কি হয়েছে। আমরা আশা করছি যে কালকেও ওরা বেশ স্ট্রংলি আসবে, এবং আশা করবো আমরা যেন স্ট্রংলি সেটা রিটার্ন দিতে পারি। ’- যোগ করেন মাশরাফি।
চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগেও মিরপুর শের-ই-বাংলায় তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর প্রথমটি ছিল ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনাল এবং ২০১৬ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনাল।
দুঃখজনক হলেও সত্য এর কোনটিতেই ঘরের মাঠের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেনি লাল-সবুজের দল। কিন্তু এবার সেই সুযোগটি নিতে চাইছেন মাশরাফি। আর সেই লক্ষ্যে ইতিবাচ ক্রিকেট খেলেই পুরোনো দুঃস্মৃতি ভুলতে চান তিনি।
‘এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটা সুযোগ। কালকে সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। তো আগের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবার দরকার মনে করছি না। তবে হারজিত তো থাকবেই, একদল জিতবে আর একদল হারবে। এটা নিয়ে না ভেবে আমার মনে হয় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা আর প্রথম তিনটা ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, গতকালকের ম্যাচেও যে মাইন্ড সেটআপ নিয়ে খেলেছি সেই মাইন্ড সেটআপটুকু থাকুক। হয়তো যেটা প্রত্যাশা ছিল, সেটা হয়তো মাঠে ডেলিভার করতে পারিনি। ওইটা আবার না হলেই হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম