এদেশের ক্রিকেটের ইতহাসে যে ট্রফি এতদিনেও উঁচিয়ে ধরা লাল-সবুজের ক্রিকেটের জন্য সম্ভবপর হয়ে উঠেনি, তারই হাতছানি আজ। যা আগামী দিন গুলোতে আরও বড় শিরোপা জয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাবে।
এমন প্রথমের লক্ষ্যেই শনিবার (২৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি হাজার হাজার টাইগার সমর্থকেরা ভীড় জমিয়েছেন। শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গে বাঘের অবয়ব এঁকে গ্যালারি থেকে সজোরে ‘গো বাংলাদেশ গো’…. ‘সবাস বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ!’… চিৎকারে মাশরাফি-সাকিবদের অনুপ্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন। কেউ এসেছেন বড় ব্যানার নিয়ে যখানে লেখা ‘দৌড়া বাঘ আইলো। ’ কেউ আবার তুলির আঁচরে গালে, কপালে এঁকেছেন লাল-সবুজের পতাকা। আবার কেউ এসেছেন লাল-সবুজের প্রমাণ সাইজের পতাকা নিয়ে। মিরপুরের গ্যালারিতে কান পাতলেই আজ অন্যরকম উন্মাদনা। যেন শিরোপা জয়ে কেউই মাশরাফিদের আটকে রাখতে পারবে না। টাইগারদের প্রতিটি বলই যেন তাদের তেমনই বারতায় এনে দিচ্ছে।
শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪২ রানে গুনাথিলাকা ও মেন্ডিসকে হারিযে লঙ্কানরা কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও তৃতীয় উইকেটে উপুল থারাঙ্গা ও ডিকভেলার জুটিতে সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলেছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তবে ব্যক্তিগত ৪২ রানে সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ডিকভেলা ফেরায় আবার ছন্দপতন ঘটেছে লঙ্কান শিবিরে। এই মুহূর্তে উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ উপুল থারাঙ্গা ও অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। তাদের সতর্ক ব্যাটিং বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছে ৯৬’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু টাইগার গ্যালারির যে উন্মাদনা এবং তাদের যে প্রত্যাশা তাতে মনে হচ্ছে যতবড় সংগ্রহই হোক না কেন এই টুর্নামেন্টে অদম্য বাংলাদেশই শিরোপা জয়ের শেষ হাসি হাসবে।
‘শ্রীলঙ্কা ৩২০ করলে আমরা আজ ৩২১ করবো, সমস্যা নেই। ’ বলছিলেন রাকিব নামক এক ব্যবসায়ী। তিনি ও তার কয়েক বন্ধু এসেছেন হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে টাইগারদের প্রথমের স্বাক্ষী হতে।
টুর্নামেন্টের সব শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দুর্দান্ত খেলে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে। এই ম্যাচেও তাদের বডি ল্যাংগুয়েজ দারুণ। তারপরেও আপনি কেন এভাবে ভাবছেন? প্রতিবেদকের করা এমন প্রশ্নের জবাবটি দিলেন এভাবে ‘মাশরাফি আছে না? সে আমাদের অনেক বড় বড় জয় এনে দিয়েছে। আজও দেখবেন ঠিকই বাংলাদেশ জিতবে ইনশাল্লাহ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস