স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন খোদ টাইগাররাও। কিন্তু স্বাগতিকদের দৈন্য ব্যাটিং সেই প্রথমের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিল।
২২২ রানের লক্ষ্য, সেকি খুব বেশি? ঘরের মাঠে যেখানে সব কিছুই তাদের অনুকূলে সেখানেই ১৪২ রনে গুটিয়ে গিয়ে ফাইনালে আরেটি স্বপ্ন ভঙ্গের উপ্যাখ্যান রচনা করলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ এশিয়া কাপ ও ২০১৬ টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনালেও এমনই স্বপ্ন ভঙ্গের উপ্যাখ্যান রচিত হয়েছিল।
ম্যাচ শেষে তাই যখন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা সংবাদ সম্মেলনে এলেন তাকে দেখে দলের বাকি সদস্যদের অবস্থা খুব সহজেই অনুমান করা গেল। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেও যে দলপতি হাসি খুশি ছিলেন, তার লেশ মাত্র মুখে নেই। যেন স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা তার সদা হাস্যজ্জ্বল চেহারাটিকে বিবর্ণ করে দিয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে কিছু সময় নিচের দিকে তাকিয়ে থেকে সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর শুরু করলেন মলিন মুখে নিচু স্বরে। ‘ড্রেসিংরুমের সবাই হতাশ। সবাই ডাউন আছে। আমরা এমন হার কখনোই আশা করিনি। আশা করেছিলাম জিততে পারি। ফাইনাল ম্যাচ হারলে সবাই ডাউন থাকে এটাই স্বাভাবিক। ’
শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের চোট পেয়ে মাঠ থেকে বিদায়টি ছিল ম্যাচের অন্যতম প্রভাবক। সাকিব তো আর শুধু ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার নন। তিনি একের ভেতরে তিন। বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চোট পেয়ে ম্যাচ থেকে তার ছিটকে যাওয়া সন্দেহাতীত ভাবেই দলের ওপর কিছুটা হলেও প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু মাশরাফি বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন না।
‘সাকিব যখন পড়ে যায় ওর হাত দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ও খেলতে পারছে না। বিষয়টা প্রতিটি প্লেয়ারই জানতো যে ওর পক্ষে ব্যাটিং করা সম্ভব না। ড্রেসিংরুমে আমরা আলোচনাও করেছি সাকিব ব্যাটিং করবে না এটা মাথায় না আনতে। তবে ২২২ রান তাড়া করতে গিয়ে এমন যুক্তি দেয়া ঠিক হবে না যে সাকিব ব্যাটিং করেনি তাই সম্ভব হয়নি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস