ডাক পেয়েছেন ১৯ জন ক্রিকেটার। তার মধ্যে ১৪ জনই পেসার।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনিং ক্যাম্প। চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ৬ মার্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ত্রিদেশীয় সিরিজটির পর্দা উঠবে। ৮ মার্চ ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি
ঘরের মাটিতে সদ্য সমাপ্ত দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের থামাতে ব্যর্থই হয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। হোম ভেন্যুতে সমর্থকদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বাগতিক শিবির। দুই ম্যাচে স্কোরবোর্ডে যথাক্রমে ১৯৪ (টার্গেটে নেমে) ও ২১০ রান তুলেছে সফরকারীরা। দুই ম্যাচে তাদের উইকেট পড়েছে মাত্র ৮টি।
এজন্যই বোলিং কোচ ওয়ালশের অধীনে পেস বোলারদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনিং ক্যাম্প করার নির্দেশ দিয়েছেন বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। ১৪ জনের মধ্যে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন।
ওয়ালশের ভাষ্য, ‘ক্যাম্পে আমরা বোলারদের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করছি। তাদের অবশ্যই নিজেদের ফিরে পেতে হবে এবং সহজভাবে তা ধরে রাখতে হবে। আমার মূল্যায়ণ হচ্ছে, সবশেষ সিরিজে এটাই ঘটেছে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনটা সেরা এবং কীভাবে করতে হবে তা জানা আবশ্যক। যদি তারা ধারাবাহিকতা পেয়ে যায়, দশবারের মধ্যে আটবার তবে এটা আপনার পক্ষে কাজ করবে। আমরা তাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং ওরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের মেলে ধরতে কীভাবে শান্ত থাকা যায় তা বোঝানোর চেষ্টা করছি। ’
পেস বোলিংয়ে ভালো বোঝাপড়ার জন্য ক্যাম্পে বোলারদের প্রাথমিক মৌলিক বিষয় (বেসিক) নিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওয়ালশ, ‘আমরা যেমনটা পছন্দ করি সে অনুযায়ী ধারাবাহিক বোলিং হচ্ছে না। তাই ক্যাম্পে এদিকটায় মনোযোগ রাখা হচ্ছে। আসন্ন ট্যুরে তাদেরকে অবশ্যই নিজেদের ভূমিকাটা উপলব্ধি করতে হবে। ’
‘ফাস্ট বোলিং কি এবং কঠোর পরিশ্রমের যে বিকল্প নেই সেটিও ক্যাম্প থেকে জানতে পারবে বোলাররা। এটি উভয়ের সংমিশ্রণ। আমরা প্রক্রিয়াটি সহজবোধ্য রাখার চেষ্টা করছি। ধারাবাহিকতা, স্কিল নিয়ে কাজ করা ও ভালো বোঝাপড়ার দিকে ফোকাস রাখছি। ’-যোগ করেন ওয়ালশ।
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৬ জনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি। গত বছরের নভেম্বরে বিপিএল দিয়ে নিজেদের মেলে ধরেন তারা। প্রাথমিকভাবে প্রতিভার জানান দিয়ে আসা উদীয়মানরা নিজেদের কতদূর নিয়ে যেতে পারবে তা তর্কসাপেক্ষ। এই তরুণ পেসারদের প্রথমবার দেখা ওয়ালশ বলছেন, তাদেরকে কঠোরতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
‘প্রথমবার আমি এই কিছু পেসারকে সঠিকভাবে দেখছি। আজ তাদের দেখে মূল্যায়ণ করেছি এবং দেখেছি তাদের মধ্যে কি আছে। আগামী কয়েক দিনে, তাদের আলাদা করে এককভাবে নির্দিষ্ট কাজ করবো। তাদের নিজেদের জায়গাটায় উন্নতি করতে হবে। ’
তরুণদের নিয়ে ওয়ালশ যোগ করেন, ‘যদি তারা কোনো ডিপার্টমেন্টে দুর্বল থাকে, আমরা তা নিয়ে কাজ করবো। যদি শক্তিশালী হয়, আরও শক্তিশালী করে তুলবো। এটা খেলোয়াড়দের সর্বোপরি উন্নতির জায়গা। দিন শেষে, আমি এখানে আছি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যতটা সম্ভব সেরা হিসেবে গড়ে তোলা এবং বোলারদের আরও বেশি ধারাবাহিক করার জন্য। ’
প্রসঙ্গত, ১৪ পেসারের এই তালিকায় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়াদের থেকে ডাক পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। আর বাদ পড়েছেন শফিউল ইসলাম, শুভাশীষ রায় ও আল আমিন হোসেন।
বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্পে ডাক পাওয়া পেসাররা হলেন: তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, আবুল হাসান, রবিউল হক, আবু হায়দার রনি, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কাজী অনিক, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও হোসেন আলী।
ব্যাটসম্যান: ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, আরিফুল হক ও জাকির হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম