দুষ্টমিতে ভরা কথায় যে মানুষটি আড্ডার মধ্যমণিতে পরিণত হন সেই মানুষটিকেই আজ গুরুগম্ভীর মনে হলো। আচরণে সেই উচ্ছলতা নেই, প্রাণখোলা হাসি নেই।
মানুষের জীবনে কত কিছুই তো হয়, তাই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। মাশরাফি ক্রিকেট খেলেন ঠিক আছে কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন বলেও তো কিছু আছে। কিন্তু না, ব্যক্তিগত কোনো কারনে বোধ হয় না।
দেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ঘটনার চুলচেড়া বিশ্লেষণ করলে তার এমন উদাসীনতা নিয়ে একটি কনক্রিট সিদ্ধান্তে হয়তো আসা সম্ভব। সেটা হলো, সদা চঞ্চল, উচ্ছল ও প্রাণবন্ত মাশরাফিকে অহেতুক ভাবনার অথৈ সাগরে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাম্প্রতিক অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত; দলের যে দিশেহারা অবস্থা তাতে অবসর নিলেও ৬ মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে তাকে খেলতে হবে।
যদিও পাপন বলেছেন ‘তাকে আমরা জিজ্ঞেস করবো খেলবে কি না। ’ কিন্তু পাপন এটা বুঝলেন না, জেনেশুনে তাকে এটা বলা সমীচিন হবে না। এতে করে তার মতো হেভিওয়েট একজন মানুষের সিদ্ধান্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন হবে। তাছাড়া একবার অবসরের ঘোষণা দিয়ে তা বদলে ফিরে আসার পাত্র মাশরাফি নন।
আবার তিনি অবিবেচকও নন। অতীত কিন্তু সেকথা বলে। হাত দিয়ে নয়, দেশের প্রয়োজনে যে মানুষটি হৃদয় দিয়ে বল করেন, জয়ের জন্য যে মানুষটির হৃদয় নিংড়ে দেয়া নিবেদন তিনি দেশের ক্রিকেটের এমন মুখ থুবরে পড়া অবস্থায় আবার ফিরতেও পারেন! এমন ভেবেই হয়তো বিসিবি সভাপতি তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছিলেন।
হয়তো সেই বিষয়টি অনুধাবন করেই দোটানায় পড়ে গেছেন এই টাইগার ওয়ানডে দলপতি। যদিও গতকাল খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায় আভাস মিলেছে, টি-টোয়েন্টিতে তিনি আর ফিরছেন ‘না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম