সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে আসতে অন্য আট দশজনের মতো তাকেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটে-বলে প্রমান দিতে হয়েছে। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের কোনটিতেই আশানুরূপ রান তিনি উপহার দিতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক অভিষেক ম্যাচে ১ রানে অপরাজিত থাকার পর দ্বিতীয়টিতে ফিরেছেন মাত্র ২ রানেই। কিন্তু তাতে করে এতটুকু ভেঙ্গে পড়েননি বরং জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে অনাগত দিনগুলোতে নিজেকে নিয়ে যেতে চাইছেন সাফল্যের চূড়ায়। চাইছেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার হতে, ‘আমি বাংলাদেশের টপ অলরাউন্ডার হতে চাই। ’
এমন যার লক্ষ্য তিনি তো সাধারণ কেউ নন। বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে বলেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারতকে নিয়ে নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ (৬ মার্চ থেকে) সামনে রেখে ১৪ পেসার ও ৫ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে যে বিশেষায়িত ক্যাম্প মিরপুরে শুরু হয়েছে সেখানে আরিফুলকেও ডেকেছেন।
তার মানে শ্রীলঙ্কা সফরে তার দলের সাথে থাকার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। আর যদি থাকেন তাহলে নিজের সেরাটুকু দিতে কার্পণ্য করবেন না। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। ব্যাটিংয়ে তেনি যেখানে নামেন সেখান থেকে দলকে খুব বেশি কিছু দেয়া সম্ভব না।
তারপরেও তার অভিযোগ নেই। দল যেভাবে চাইবে তিনি সেভাবেই করবেন এটাই তার শেষ কথা, ‘যে পজিশনে ব্যাটিং করি আমি হয়তো খুব বেশি বল পাব না। খুব বেশি হলে ২০টা বল পাব। বা এমনও দিন যাবে ৬টা বল পাব। তো আমার আসলে টিম যেভাবে চায় সেভাবেই করবো। ’
এতটুকু বিনয় থাকলে বড় হতে আসলে আর কিছুই লাগে না। সেটা আরিফুলের মধ্যে পুরোদস্তুর উপস্থিত। সেজন্যই বোধ হয় তার ছোট বেলার স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে। স্বপ্ন সত্যি করা! সে তো চারটিখানি কথা নয়। তাই সহসেই ভেঙ্গে যেতে দিতে চাইছেন না। আগলে রাখতে চান যুগ যুগান্তর, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলাম। এই স্বপ্নটা যদি দ্রুত ভেঙ্গে যায় এটা কষ্টদায়ক হবে। আমি চাই যেন ক্রিকেটে বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম