প্রথম বলে ১ রান দেওয়ার পর উইকেটের শুরু। একে একে বিদায় করেন ধীমান ঘোষ (৪৬), আব্দুর রাজ্জাক (১২), শফিউল ইসলাম ও ফজলে রাব্বিকে।
আর তার এমন বোলিং ঝলকে ঝলসে গিয়ে ২৭৯ রানে গুটিয়ে গেল অগ্রণী ব্যাংক। শাহরিয়ার নাফিসের ১২১ রানে দলটির জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল। দিন শেষে ১১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো পয়েন্ট টেবিলের টপাররা। টানা ছয় জয়ের পর আগের ম্যাচ হেরে গেলেও মাশরাফির হাত ধরেই আবার লিগে জয়ে ফিরলো আবাহনী।
এই ছয় উইকেটের বদৌলতে ঢাকা প্রিমিয়পার লিগের চলতি মৌসুমে ৮ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষ শিকারি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মার্চ) অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ১৩৩ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৬ রানে ৬ উইকেটে ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আবাহনী।
জবাবে জয়ের জন্য ২৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা অগ্রণী ব্যাংক শাহরিয়ার নাফিসের ১২১, রাজার আলী দারের ৬২ ও ধীমান ঘোষের ৪৬ রানে জয়ের আশা জাগালেও তাতে জল ঢেলে দেন মাশরাফি। ২৭৯ রানে গুটিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক।
মাশরাফির ৬ উইকেটের পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক ধ্বংষযজ্ঞে ২ উইকেট নিয়ে ভূমিকা রেখেছেন আরিফুল হাসান সবুজ। মান্নান শর্মা ও সানজামুল নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
১২ দলের পয়েন্ট টেবিলে অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান একেবারে তলানিতে। দুই জয়ের বিপরীতে ৬ ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। শেষটি মাশরাফির হাত ধরে! সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নাম্বার ওয়ান টিম আবাহনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ৬ মার্চ ২০১৮
এইচএল/এমআরএম