যদিও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সহকারী কোচ ফারব্রেস টাইগারদের হেড কোচ হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। এমন খবর নিশ্চিত করে ক্রিকইনফো।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ফারব্রেসের সঙ্গে হেড কোচের চুক্তি সম্পন্ন করার কথা ছিল। তবে সে বিসিবিকে জানিয়ে দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হতে তিনি ইচ্ছুন নন।
বিসিবি ও ফারব্রেস এ ব্যাপারে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে সম্প্রতি বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই হেড কোচ নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি তার মতে কোচ হবে কোনো পরিচিত মুখই।
তবে গত ১১ মার্চ ভিন্ন সুরে কথা বলেন পাপন। তিনি জানান, চলমান নিদাহাস ট্রফির পর আরও কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে সাক্ষাত করবে বোর্ড।
এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ থাকাকালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ সফলতা দেখিয়েছিলেন ফারব্রেস। সেবার বাংলাদেশ সফরে টাইগারদের বিপক্ষে চার মাসের মধ্যে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় লঙ্কানরা।
ফারব্রেস বর্তমানে ইংলিশ দলে হেড কোচ ট্রেভর বেইলিসের অধীনে সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিশেষ করে থ্রী-লায়ন্সদের সাদা বলে বেশ উন্নতি করিয়েছেন। সর্বশেষ ১০টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে ৯টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। এছাড়া ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছে দলটি।
বিসিবি এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হেড কোচের প্রার্থী হিসেবে রিচার্ড পাইবাস ও ফিল সিমন্সের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। তবে দু’জনেই এখন যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের দায়িত্বে আছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, টম মুডি, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো হেভিওয়েটদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তবে সবাই হেড কোচ হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ, ২০১৮
এমএমএস