যা হোক, ওই আবেগের পুনরাবৃত্তি ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের ম্যাচে দেখাতে চাইছেন না এই টাইগারদের দলপতি। আবেগের ঘরে তিনি নাকি তালা দিয়েছেন।
রোববার (১৮ মার্চ) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টসে এসে উপস্থাপক মুরালি কার্ত্তিককে একথা বলেন সাকিব।
অবশ্য এমনি এমনি বলেননি, মুরালি তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘আজকেও আপনি আবেগপ্রবণ হবেন কী না?’
কী হয়েছিল সেদিন? সবাই জানেন। তারপরেও মনে করিয়ে দিচ্ছি। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল নির্ধারণীতে জয়ের জন্য শেষ ওভারে টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ১২ রান।
প্রথম বলটি ছিল বাউন্সার। স্ট্রাইকে থাকা মোস্তাফিজ রান নিতে পারেননি। পরের বলও বাউন্সার হলো। মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রানআউট হলেন মোস্তাফিজ।
আইসিসির বেঁধে দেয়া নিয়মানুযায়ী, টি-টোয়েন্টিতে একটির বেশি বাউন্সার দিলে ‘নো’ বল বলে গণ্য হবে। মোস্তাফিজ ফেরার সময় মাহমুদউল্লাহ লেগ-আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার ‘নো’ বলের সংকেত দেন।
ঠিক তখনই প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠে লঙ্কান খেলোয়াড়রা। তারা আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন। তখন লেগ আম্পায়ার গিয়ে মূল আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো’ বল তুলে নেন।
প্রতিবাদ দিক বদলে যায় টাইগার শিবিরে। আওয়াজ তোলেন মাহমুদউল্লাহ। আর মাঠের বাইরে ক্ষোভ দেখান সাকিব। এর মাঝেই সাকিব ইশারা দেন দলের কম্পিউটার বিশ্লেষককে। তিনি রিপ্লে দেখে জানান বল কাঁধের ওপর ছিল।
সাথে সাথে সাকিবের সঙ্গে দলের সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আম্পায়াররা ‘নো’ বল দিতে রাজি নন তাই সাকিব ইশারায় দু্ই ব্যাটসম্যানকে ডেকে মাঠ ছেড়েও চলে আসতে বলেন। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল মাঠের বাইরে প্রায় চলেই গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ দলের বেঞ্চে থাকা নুরুল হাসানের সঙ্গে কুসল মেন্ডিসসহ লঙ্কানদের বেশ কজনের সঙ্গে লেগে যায় অবস্থা। ঠিক তখন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ ব্যাটসম্যানদের বলেন খেলা চালিয়ে যেতে। সেখান থেকে দলকে ১ বল হাতে রেখে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। খেলেন ১৮ বলে ৪৩ রানের এক চোখ ধাঁধানো ইনিংস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ ২০১৮
এইচএল/এমআরএম