এ রিপোর্ট লেখা অবধি ভারতের সংগ্রহ ১৪ ওভার শেষে চার উইকেটে ১০৪। মানিশ পাণ্ডে ৮ ও বিজয় শংকর ৫ রানে ব্যাট করছেন।
৩২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। দু’জনের ৫১ রানের জুটি ভেঙে মূল্যবান উইকেট এনে দেন রুবেল হোসেন। ডিপ স্কয়ার লেগে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত হন রাহুল (১৪ বলে ২৪)।
বিপদজনক হযে ওঠা রোহিত-ধাওয়ান জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারে মিডঅনে বদলি ফিল্ডার আরিফুল হকের হাতে ধরা পড়েন শিখর ধাওয়ান (১০)। রোহিত শর্মার সঙ্গে তার ওপেনিং পার্টনারশিপে আসে ৩২।
পরের ওভারে রুবেল হোসেনের লেগসাইড শর্ট বল ওয়াইড সিগন্যাল দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন মুশফিকুর রহিম। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ছুঁয়ে যায় সুরেশ রায়নার ব্যাট। রানের খাতা খুলেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এর আগে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন রানে ফেরা সাব্বির রহমান। ৫০ বলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার মার।
শেষ ওভারে ১৮ রান তুলে দলকে লড়াকু স্কোর এনে দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে দু’টি চার ও এক ছক্কায় ১৯।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২১) ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৭) দু’জনই রানআউট হন। তামিম ইকবাল ১৫, লিটন দাস ১১, সৌম্য সরকার ১, মুশফিকুর রহিম ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন।
ভালো শুরুর পর হঠাৎই ছন্দপতন হয়। তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটি (২৭) ভাঙার পর স্কোর তিন উইকেটে হয়ে যায় ৩৩। মুশফিককে নিয়ে ৩৫ রান যোগ করে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন ওয়ানডাউনে নামা সাব্বির। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৬ ও সাকিবকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২৯।
চার ওভারে ১৮ রান খরচায় তিনটি উইকেট দখল করেন লেগস্পিনার যুজভেন্দ্র চাহাল। ২০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তরুণ অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। অন্য দু’টি পেসার জয়দেব উনাদকাতের।
ফাইনাল বাধা টপকে প্রথমবারের মতো ট্রাইনেশন সিরিজের ট্রফি জয়ে চোখ রাখছে টিম বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন পর্বে ধোনি-কোহলিবিহীন ভারতকে হারাতে না পারলেও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে দুই ম্যাচেই হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যরা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এখনো ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সাতবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিবারই সঙ্গী হয়েছে হতাশা। কয়েকটি ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও আক্ষেপে পুড়তে হয়। সবশেষ চলমান সিরিজে দ্বিতীয়বারের দেখায় জেগেছিল জয়ের সম্ভাবনা (১৭৭ তাড়া করে শেষদিকে রান তুলতে না পেরে ১৭ রানে হার)।
একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। একটি পরিবর্তন ভারতীয় দলে। পেসার মোহাম্মদ সিরাজের জায়গায় ফিরেছেন জয়দেব উনাদকাত।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু।
ভারতীয় একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, সুরেশ রায়না, মানিশ পাণ্ডে, দিনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), বিজয় শংকর, ওয়াশিংটন সুন্দর, শারদুল ঠাকুর, জয়দেব উনাদকাত, যুজভেন্দ্র চাহাল।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম