ভারতের জয়ের পর লংকানরা যেভাবে গগনবিদারী চিৎকার করেছে এবং তাদের সাথে নিজ দেশের পতাকা হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছে তাতে যে কারোই মনে হতেই পারে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
ব্যতিক্রম থাকলেন না, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও।
‘দর্শকতো আমাদের বিপক্ষে থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কালকে স্বাগতিক দেশ ছিল না। কিন্তু আমাদের বিপক্ষে এতো সমর্থন ছিলো মানে বাংলাদেশের হয়ে পুরো হতাশই আমি। যদিও আমাদের বাংলাদেশি সমর্থকও ছিল বেশ কিছু। সবার মাঝে তাদের আওয়াজটা খুবই কম হয়েছে। তবে এটা খেলারই অংশ। হয়তো আমরা শ্রীলঙ্কার শত্রু ছিলাম, আমাদের কারণে তারা ফাইনালে উঠতে পারেনি। এই আক্রোশ থেকে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে সমর্থন দিয়েছে। ’
সোমবার (১৯ মার্চ) নিদাহাস ট্রফি মিশন শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমান বন্দরে এসব কথা বলেন সুজন।
সুজন এসময় কথা বলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬ মার্চের ওই ম্যাচে ‘নো’ বল ইস্যুতে সাকিবের আবেগপ্রবণ হওয়া নিয়েও, ‘আমি একদমই বলবো না যে প্রতিবাদ করাটা ওইভাবে ঠিক ছিল। কারণ দিন শেষে এটা খেলা। ক্রিকেট খেলা। সাকিব যেটা করেছে পুরো আবেগি হয়ে করেছে হয়তো। আর আমরা নিজেরাও দেখছিলাম ‘নো’ বল ডাকা হয়েছে তারপরও ‘নো’ বল কেন দেওয়া হবে না। আম্পায়াররাও জানেন। আম্পায়াররা যে ভুল করেছে সেটা আপনারাও জানেন। ’
‘হয়তোবা একটু বেশি প্রতিবাদের ভাষা হয়ে গেছে। যেহেতু টিভি ক্যামেরায় এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে আমি মনে করি এক দিক থেকে সাকিবের অ্যাগ্রেসিভ হওয়া দরকার ছিল কারণ অনেক টুর্নামেন্টেই এমন হয়েছে। কারণ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে আপনি যদি দেখেন ওইখানেও আমাদের বেশ কিছু সমস্যা হয়েছিল। আম্পায়ারের এমন কিছু সিদ্ধান্তে আমাদের এমন হতে হয়েছে। তো তারপরও পরিস্থিতি ঠিক হয়েছে আমরা খেলেছি, খেলে দারুণ জবাব দিয়েছি মাঠে। সেটাই বড় ব্যাপার ছিল আমাদের জন্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ১৯ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম