শুধু ব্যাটসম্যানরাই কেন? তাসকিন, আবু হায়দার রনির মতো তরুণ বোলাররাও ঠিক যেন ধারাবাহিকভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না। দু’একটি ম্যাচে যাও পারছেন পরের ম্যাচেই দপ করে নিভে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা জানান বিসিবির গেমস ডেভেলপমেন্ট প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
সুজন বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। কোর্টনি ওয়ালশ হয়তো দুই-চারদিনের মধ্যে ফিরবে ঢাকায়, তখন হয়তো বসে প্ল্যান করা হবে। যেহেতু প্লেয়াররা এখন প্রিমিয়ার লিগ এবং পরে বিসিএল খেলবে, ওদেরকে ম্যাচ খেলতে দেয়া উচিত। যত খেলবে ততো শিখবে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে, আমাদের ধারাবাহিকতা একদম হচ্ছে না ইয়াং প্লেয়ারদের। ’
‘লাস্ট কয়েকটা বছর ধরে রিয়াদ, মুশফিক, তামিম তারা যেভাবে পারফর্ম করছে জুনিয়র প্লেয়াররা সেভাবে করতে পারছে না। যদি লিটন, সাব্বির, সৌম্যর মাঝে সেই ধারাবাহিকতটা থাকতো তাহলে হয়ত এক-দুইটা প্লেয়ারকে হয়ত পরের সিরিজে বিশ্রাম দিতে পারতাম। সামনের দুই বছর টাইট সিডিউল বাংলাদেশের। এটা কনসার্ন (উদ্বেগ)। ’
সুজন এসময় কথা বলেন প্রধান কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গেও। নিদাহাস ট্রফি চলাকালীন কলম্বোয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে মাশরাফি, সাকিবদের প্রধান কোচ। কিন্তু এতদ সংক্রান্ত বিষয়ে আজও কোন সুখবর দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অনুমিতভাবে পারলেন না সুজনও।
তবে তিনি পরামর্শ দিলেন যতদিন কোচ না পাওয়া যাবে ততদিন বোলিং কোচ থেকে নিদাহাস ট্রফিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হওয়া ওয়ালশের কাঁধেই থাকবে অভিভাবকের দায়িত্ব, ‘কোর্টনিকে সুপারিশ করা যায়। তিনি দারুণ একজন মানুষ। সৎ একজন মানুষ। নিদাহাস ট্রফিতে দারুণভাবে সাপোর্ট করেছেন মোটিভেট করেছেন প্লেয়ারদের। তার অভিজ্ঞতা তো ৪০ বছরের, দীঘদিন থেকে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। তার অভিজ্ঞতা নিয়ে তো কথাই নেই। সে ফাদারলি ফিগার (খেলোয়াড়দের কাছে বাবার মতো)। টিমের সবাই তাকে পছন্দ করে। সবমিলিয়ে শেষ সিরিজে হি ওয়াজ ফ্যানটাস্টিক (তিনি ছিলেন চমৎকার)। ’
ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন, লাল-সবুজের ক্রিকেটের হেড কোচ নিয়োগে আরও দুই মাস সময় নেবে বিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ২২ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম