দিন শেষে ৭৩ রানের সহজ জয় পেল মাশরাফি-নাসিরের আবাহনী লিমিটেড।
১০ ওভার বল করে ৫০ রানের বিনিময়ে বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল নিয়েছেন ৪ উইকেট।
আবাহনীর ছুঁড়ে দেয়া ২৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা গাজী গ্রপের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন অনুসতাপ মজুমদার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন মুমিনুল হক। বল হাতে আবাহনীর হয়ে বাকি ৬ উইকেটের ২টি করে পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
এরআগে শনিবার (২৪ মার্চ) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভাল করতে করতে পারেনি চলমান মৌসুমে দাপট দেখানো আবাহনী লিমিটেড। দলীয় ১৭ রানে এনামুল হক বিজয় (৮) ও নাজমুল হোসেন শান্তকে (৩) হারিয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।
দলের ক্রান্তি লগ্নে জ্বলে ওঠেননি রাউন্ড রবিন লিগে দুর্দান্ত খেলা ওপেনার সাইফ হাসানেও। মন্থর ব্যাটে ৩০ রান সংগ্রহ করতে লাগিয়েছেন ৬৩ বল। এরপর মুমিনুল হকের স্পিন ফাঁদে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন নাইম হাসানের তালুবন্দি হয়ে।
সাইফের ফেরার পর মিডলঅর্ডারে নেমে আশানুরুপ ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি অধিনায়ক নাসির হোসেনও। নাইম ঘূর্ণিতে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ হয়ে নিজের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন মাত্র ৯ রানে।
৯১ রানে নেই ৪ উইকেট। দলের এমন নাজুক অবস্থায় হাল ধরেন ভারতীয় মিডলঅর্ডার হনুমান ভিহারি ও মোহাম্মদ মিঠুন। বলা বাহুল্য তাদের ব্যাটেই আশার আলো দেখেন আবাহনী সমর্থকেরা। ভিহারির ১২৪ বলে ১০৯ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৬১ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে, নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আবাহনী। দলের এই সংগ্রহে ভূমিকা রেখেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ১ চার ও তিন ৬-এ ৬ বলে করেছেন ২৩ রান। গাজী গ্রুপের হয়ে বল হাতে মেহেদি হাসান, আবু হায়দার রনি ২টি করে, নাইম হাসান ও মুমিনুল হক নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
বাংলাদে সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস