সভা শেষে বেরিয়ে যাবার সময় মাশরাফি, মোহাম্মদ শরীফ বলে গেছেন, বহুদিন ক্রিকেটারদের কোন বনভোজন হয় না, তাই একটি বার্ষিক বনভোজনের উদ্দেশেই তাদের একত্রিত হওয়া।
তবে তারা বিষয়টি গোপন রাখতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা গোপন থাকেনি।
কোয়াব সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজনের দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তাই বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির সামনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানার পর প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে সাধুবাদ জানালেও তিনি এবং তার সংঠনের কেউই যে ক্রিকেটারদের এই উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখছেন না সেটা তার কথাতেই স্পষ্ট।
‘অবশ্যই এটা ভালো। ওরা দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে, বসতে চাচ্ছে। আমি জানি না ওরা কী চাচ্ছে। ঠিক ক্লিয়ার না। এটা ওদের ভুলে গেলে চলবে না অনেক বছর ধরে আমরা কোয়াবটাকে যেভাবে হোক টিকিয়ে রেখেছি। নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করেই টিকিয়ে রেখেছি। কেউ তো সাপোর্ট করতো না। ওরা যদি মনে করে আমরা ওদের প্রতিপক্ষ, সাহায্য করছি না, এটা করলে ভুল হবে। ’
‘তারপরেও আমি বলবো ওরা বড় হয়েছে, ওরা সিদ্ধান্ত নেবে, ওরা যদি কমিটি গঠন করে বোর্ডের সাথে ফাইট করে কমফোরট্যাবল থাকে, ওদেরটা আদায় করতে পারে সেই চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু এটা সবার জন্যই একটা ভুল বার্তা হবে। ’
সুজন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে ফাইট করে কিছুই হবে না। এটা আলোচনার ব্যাপার। বোর্ডের সাথে আলোচনা করতে হবে। আর ওরা যদি এই কমিটির ওপর কনফিডেন্ট না থাকে তাহলে কোয়াবের তো একটা সিস্টেম আছে, কমিটি ডিজল্ভ করা, নতুন কমিটি করা। সিস্টেমের মধ্যে দিয়েই সব হবে, আমি বিশ্বাস করি। নির্বাচন করে তারা যেমন লোক চায়, যারা তাদের হয়ে ফাইট করবে তাদের সিলেক্ট করতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম