দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট (জোহানেসবার্গে ৩০ মার্চ শুরু) হবে অজিদের কোচ হিসেবে লেহম্যানের শেষ ম্যাচ। ২-১ এ এগিয়ে প্রোটিয়ারা।
লেহম্যানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না এনে তাকে কোচিং চালিয়ে যেতে বলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবুও দলের অভিভাবক হিসেবে একটা অস্বস্তি থেকেই যায়! শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের কঠিন সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন তিনি। তবে দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানা তার জন্য সহজ ছিল না।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে লেহম্যানের অনুভূতি, ‘খেলোয়াড়দের বিদায় বলার মতো কঠিন কাজটি আমি কখনোই করতে পারিনি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরে দাঁড়ানোর এটাই উপযুক্ত সময়। এই দলটাকে সাম্প্রতিক সময়ে খুবই নেতিবাচকভাবে দেখা গেছে এবং আমরা যেভাবে খেলছি তার কিছু দর্শনে পরিবর্তন আনা দরকার। তারা একটি ভুল করেছে। খেলাটাকে সম্মান করা, এটির ঐতিহ্য ও বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেট যেভাবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে তা বুঝতে পারা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ’
২০১৩ অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচের দায়িত্ব কাঁধে নেন সাবেক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান লেহম্যান। তার অধীনে অজিদের সাফল্যের অন্যতম দু’টি হোম অ্যাশেজ সিরিজ (দু’টি মিলিয়ে ৯-০ ব্যবধান), ২০১৫ বিশ্বকাপ এবং দাপটের সঙ্গে টেস্ট র্যাংকিংয়ে নাম্বার ওয়ান পজিশনে উঠে আসা।
বল টেম্পারিংয়ে আইসিসির সর্বোচ্চ শাস্তি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু যা পেয়েছেন স্মিথ। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আচরণবিধিতে এটি গুরুতর অপরাধ। স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটাই তার প্রমাণ। ‘সিনিয়রদের নির্দেশে’ সরাসরি বল বিকৃত করে ধরা পড়া ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট নিষিদ্ধ ৯ মাস।
দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন স্মিথ। সব দায় নিয়েছের নিজের কাঁধে। সোস্যাল মিডিয়ায় অনুশোচনায় ভোগার কথা জানান দেন ওয়ার্নার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম
আরও পড়ুন...
কেঁদে ফেললেন স্মিথ
কলঙ্কের দাগ কেটে অনুশোচনায় ভুগছেন ওয়ার্নার