রোববার (০১ এপ্রিল) প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের রান পাহাড়ে খেই হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েন সফরকারীরা।
সোমবার (০২ এপ্রিল) একই মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেনি গেইলের উত্তরসূরিরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বেোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর ২০৫ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র চাদউইক ওয়াল্টন ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেনি। চাদউইক ওয়াল্টন ২৯ বলে ৪০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছক্কার মার। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে পাকিস্তানি পেসার শাদাব খানের বলে বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন এই ক্যারিবীয়।
ইনিংসের শুরুতেই স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন আন্দ্রে ফ্লেচার। দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় মারলন স্যামুয়েলস ১২ রান এবং অধিনায় জেসন মোহাম্মদ ১৫ রান করে আউট হন। এরপর কিমো পল ১০ বলে ১৭ রানের ছোট খাটো ঝড় তুলে মোহাম্মদ আমিরের বলে ফাহিম আশরাফের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফেরেন।
এরপর বলতে গেলে আর বাকীরা যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভার খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে পাকিস্তান ৮২ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। এর ফলে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ২-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। এছাড়া শাদাব খান ও হুসাইন তালাত দু’টি করে উইকেট নিজেদের দখলে নেন। একটি করে পান স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ ও হাসান আলী।
আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক শিবির। ওপেনার বাবর আজম ৫৪ বলে ৯৭ রানে অপারিজত থাকেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩টি চার ও একটি ছক্কার মার। হুসাইন তালাত আগের দিনের মতো দ্বিতীয় ম্যাচের নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। মাত্র ৪১ বলে ১ ছয় ৮ চারের মারের করেন ৬৩ রান। এছাড়া অপর ওপেনার ফখর জামান ৬ রান, আসিফ আলী ১৪ এবং ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) একই ভেন্যুতে নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এসএম/এএটি