জয়ের জন্য তখন চেন্নাইয়ের প্রয়োজন সাত রান। শেষ ওভারের শুরুর তিন বলে কোনো রান না দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেন ফিজ।
ওভারের চতুর্থ বলটি চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যান কেদার যাদব দারুণ দক্ষতায় শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকান। সেই ছয়ের মারেই স্কোর হয়ে যায় সমান-সমান। এরপরের বলে মুস্তাফিজকে চার মেরে ১ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেন চেন্নাই সুপার কিংসের কেদার যাদব।
এর আগে ৩০ বলে ৬৮ রান তুলে চেন্নাইকে ম্যাচে ফেরান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। ১৮তম ওভারে ২০ রান তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। ১২ বলে যখন ২৭ রানের দরকার তখন কে ভেবেছিলেন সেই ম্যাচ হারবে মুম্বাই?
১৯তম ওভাবের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চতুর্থ বল স্টাম্পে বল লাগার পরও আউট হননি ব্রাভো! ৫ম বলে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে ৬ষ্ঠ বলে বুমরাহর বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া এই খেলোয়াড় ৩০ বলে ৩ চার ৭ ছক্কায় ৬৮ রান সংগ্রহ করেন পাশাপাশি ৪ ওভার বোলিং করে খরচ করেছিলেন ২৫ রান।
বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি মোস্তাফিজের। খেলার ১২তম ওভারে দ্বিতীয় ওভার করতে এসে শেষ বলে হতাশা কেটেছিলো তার। মিড অফে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট মোস্তাফিজের শিকার হন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর ফিজ তার তৃতীয় ওভারটায় দুই চারসহ ১৩ রান খরচ করেন। আর শেষ ওভারটি ছিলো নাটকীয়তায় পূর্ণ। ২৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মুম্বাইয়ের সফলতম বোলার হার্দিক পান্ডে।
ম্যাচের শুরুতে দাপটের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে সূর্য কুমার (২৯ বলে ৩৩ রান) ও কিষাণের (২৯ বলে ৪০ রান) বিদায়ে বিপাকে পড়ে দলটি। ১৫ ওভারে রান ওঠে মাত্র ১১৭। এ অবস্থায় আবার দলকে ফিরিয়ে এনেছিলেন ক্রুনাল পান্ডে। শুরুটা যে রকম ছিলো সে অনুসারে খুব সহজেই ২০ ওভারে ১৮০ পেরিয়ে যেতে পারতো মুম্বাই। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে চেন্নাইকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিতে পারে তারা। চেন্নাইয়ের পক্ষে ওয়াটসন ২৯ রান খরচে তুলে নেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ২ উইকেট।
স্কোর বোর্ড:
মুম্বাই: ১৬৫/৪ (সূর্যকুমার ৪৩, ক্রুনাল ৪১; ওয়াটসন ২-২৯)
চেন্নাই: ১৬৯/৯ (ব্রাভো ৬৮, যাদব ২৪; ৩-২৪)
বাংলাদেশ সময়: ১২০ ঘণ্টা, ০৭ এপ্রিল, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ