ঢুকলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ভবনের দোতলায়। ঘণ্টাখানেক পর বেরিয়ে সোজা হাঁটা দিলেন ক্রিকেট একাডেমির দিকে।
মুখোমুখি হতেই দু’জনের মুখে মিষ্টি হাসি। কুশল বিনিময় আর খোশগল্পে জমে উঠলো ভর দুপুরের আড্ডা। এ কথা সে কথার ফাঁকে দু’জনের জীবনের ‘যৌথ ইনিংস’ নিয়েও গল্প হলো। এদিক থেকেই প্রশ্ন যায় নাঈমার কাছে, ‘একজন সুপারস্টারকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলেন, অনুভূতি কেমন?’ উচ্ছ্বসিত হাসিতে উত্তর, ‘ভালো। ’ নাঈমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নেন তাসকিন, ‘ও তো আমাকে সুপারস্টার হিসেবে দেখে না! ওর কাছে আমার বেইল নাই। ’ দু’জনে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠেন।
প্রশ্ন-পাল্টা প্রশ্নে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন দু’জনে। জীবন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা? এই প্রশ্নে নাঈমার উত্তর, ‘কী প্ল্যান করবো? আমার এখনও কোনও প্ল্যান নেই। ’ হেসে হেসে তাসকিনই সম্পূরক প্রশ্ন করেন, ‘কী কয়? বিয়ে করে ফেলেছি, এখনও বলো প্ল্যান নেই!’ হাসতে থাকেন দু’জনে। গল্পে গল্পেই দু’জনেই বললেন, পরস্পরের হাসিই দু’জনের কাছে খুব প্রিয়।
এই জোড়া হাসি নিশ্চয় তাসকিন-নাঈমার পরিবারের কাছেও খুব প্রিয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছেও হয়তো। কারণ, ক্রিকেটের মাঠে তাসকিনরা হাসলেই যে হাসে লাল-সবুজের বাংলাদেশ!
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
এইচএল/এইচএ/