বাকিদের কাজ ছিল শুধুমাত্র রানরেটের হিসাবটি মাথায় রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া। সেই কাজটি করতে গিয়ে ইশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল মুম্বাইয়ের স্বস্তির জয় আর দুরের বাতিঘর নয়।
কিন্তু ১২ দশমিক ৬ ওভারে ১৯ বল খেলে ব্যক্তিগত ২৫ রানে মুজিব-উর রহমানের বলে ইশান ও তার দুই ওভার পরে ১৩ বলে ২৩ রানের মৃদু ঝড়ো ইন্সি খেলে যখন হার্দিক ফিরলেন তখন রোহিতদের দলীয় সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২০ রান। কিছুটা চাপে তখন মুম্বাই।
২৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৫৬ রান। সেই চাপ সরিয়ে জয়ের বন্দরের পৌঁছানোর কাজটি সহজেই করে ফেললেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। শর্মা ১৫ বলে ২৪ ক্রুনাল ১২ বলে ৩১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দিলেন। তাতে কাজও হলো বিস্তর।
এক ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান এলো। ৬ উইকেটের স্বস্তির জয় পেল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা মুম্বাই।
তার মানে এই না যে, এই জয়েই তারা শেষ চারের টিকিট পেলো। সেটা করতে হলে তাদের বাকি ৫ ম্যাচেই জিততে হবে এবং অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
শুক্রবার (৪ মে) ইন্দোরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রিস গেইলের ৪০ বলে ৫০, মারকুইস স্টোইনিসের ১৫ বলে ২৯ ও লোকেস রাহুলের ২০ বলে ২৪ রানে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে বেন কাটিং, মায়ান কারকানদে, হারদিক পান্ডিয়া, মিচেল ম্যাকলেনাঘান ও জসপ্রিত বুমরাহ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৮
এইচএল/জিপি