কিন্তু তাই বলে এভাবে? এমন বাংলাদেশকেতো গেল এক দশকেও এতটা বিবর্ণ মনে হয়নি। আফগানিস্তান নামক যে দলটি এখনও ক্রিকেটের আঁতুর ঘরে তাদের সঙ্গেই কী না টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স! দৈন্য ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ও বডি ল্যাংগুয়েজে নিজেদের যোগ্যতাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।
দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর মতো ব্রিবতকর এই হার মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও। বুধবার (৬ জুন) বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সেকথাই জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।
‘আমরা মনে করি আফগানিস্তানের সাথে ২-১ হারলেও ঠিক আছে। হোয়াইটওয়াশ না হলেই হলো। কারণ দেরাদুন তাদের হোম গ্রাউন্ড। আমরা যেভাবে হেরেছি সেটা মেনে নিতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। আমাদের খুবই সতর্ক হতে হবে। তার মানে আমরা এখনও টি-টোয়েন্টির জন্য প্রস্তুত হইনি। এই ফরম্যাটে আমরা যেখানে ছিলাম সেই অবস্থানেই আছি। উন্নতি করিনি। যেটা আমরা আশা করেছিলাম যে বিপিএলে যে প্লেয়ারগুলো পারফর্ম করে তারা হয়তো এখানে গিয়ে পারফর্ম করবে কিন্তু তাদের সেই পারফরম্যান্সটা দেখছি না। ’
চলমান সিরিজের দুই ম্যাচেই বোলিংয়ে টাইগার স্পিনাররা ভাল করলেও পেস বোলিংয়ে দৈন্যতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে তরুণ আবু যায়েদ রাহি ও কিছুটা অভিজ্ঞ আবুল হাসান রাজুর নির্বিষ বোলিং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সামর্থকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
‘আমাদের কিছু তরুণ ফাস্ট বোলার আছে। আবু যায়েদ রাহি, আবু হায়দার রনি; আবুল হাসান রাজুও নাকি শুনেছিলাম সে অনুশীলনে ভাল করছিলো এবং তাকে কোর্টনি ওয়ালশও বলছিলো সে ভাল করছে। সেজন্যই তাকে মোস্তাফিজের জায়গায় নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গিয়ে তারা সেই লেভেলে পারফর্ম করতে পারছে না। তাদের কাছে আমরা আরও ভাল পারফরম্যান্স চাচ্ছিলাম। ’
উল্লেখ্য আফগানিস্তানের সাথে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির দুটিতে হেরে সিরিজ খুঁইয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৭জুন) রাত সাড়ে ৮টায় দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ৬ জুন ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম