ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফখরের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’, রান পাহাড়ে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
ফখরের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’, রান পাহাড়ে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে রেকর্ড গড়ার পথে ফখর জামান -ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজটি খুব বাজে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ফখর জামান। ফখরের দ্বিশতকের সঙ্গে আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকের সেঞ্চুরিতে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৯৯ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানে অল আউট হয়ে ২৪৪ রানের বিশাল পরাজয় বরণ করে জিম্বাবুয়ে। 

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ এরইমধ্যে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। সিরিজে ব্যবধান বাড়ানোর ম্যাচে শুক্রবার (২০ জুলাই) জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।

আসলে মূল কাজটা করেছেন দুই ওপেনার।
 
বুলাওয়েতে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ৩৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতেই উঠেছে ৩০৪ রান। এটিই ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
 
এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৬ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক জয়সুরিয়ার। ২৮৬ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুজন।
 
পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান জিম্বাবুয়ের বোলারদের কচুকাটা করে সেঞ্চুরি বাগিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২২ বলে ১১৩ রান করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে ইমাম বিদায় নেন। তার ইনিংসটি ৮টি বাউন্ডারিতে সাজানো।
 
ইমামের বিদায়ের পরও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে যান ফখর। তুলে নেন পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি সব মিলিয়ে অষ্টম দ্বিশতক। রানের হিসাবে দ্বিশতক পাওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ফখরের অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংসটি পঞ্চম স্থানে আছে।
 
পাকিস্তানের হয়ে এটি কোন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগের রেকর্ডের মালিক সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ার। ২৪ বছর আগে (১৯৯৭ সালে) ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ১৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। দ্বিশতক পেতে ১৪৭ বল খেলতে হয় ফখরকে। ১৫৬ বলে খেলা তার ইনিংসটি ২৪ বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কায় সাজানো। এটি ৩১ ম্যাচে ফখরের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
 
৪২তম ওভারের শেষ বলে ইমামের বিদায়ের পর ব্যাটিং করতে নামা আসিফ ২২ বলে করেন ৫০ রান। আসিফ আর ফখরের ব্যাটিং ঝড়ে শেষ আট ওভারে ৯০ রান তুলে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়েকে ছুড়ে দেয় ৪০০ রানের টার্গেট।
 
বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে একমাত্র উইকেট শিকারি মাসাকাদজা ১০ ওভারে খরচ করেন ৭৮ রান। বলার মতো বোলিং করতে পারেননি আর কোন জিম্বাবুইয়ান বোলারই।
 
৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২২ ওভার শেষে পাকিস্তানি বোলারদের তাণ্ডবে মাত্র ৭৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।  চতুর্থ ওভারেই দলীয় ১৮ রানে ওপেনার তিনাশি কামুনহুকামুইয়ের (৩) উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।  

এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেন নি কোন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান। মাঝে অ্যাল্টন চিকুম্বুরা (৩৭) ও ডোনাল্ড তিরিপানো (৪৪) কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক আগেই এই দুজনও বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভারে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

শুরুতে জুনায়েদ খান (১ উইকেট) ও উসমান খানের (২ উইকেট) দাপটের পর জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ত্রাস ছড়িয়ে দেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। মাত্র ৮.৪ ওভার বল করে ৪ উইকেট তোলে নেন তিনি। ২ উইকেট তোলে নেন অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এক উইকেট দখল করেন শোয়েব মালিক।

ম্যাচসেরা হয়েছেন দ্বিশতক হাকানো ফখর জামান।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এমএইচএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।