গেল বুধবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে ডাকা হয় আশরাফুলকে। সেখানেই তাকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন এই বিসিবি সভাপতি।
৩৪ বছর বয়সে কোন ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিরলই বটে। বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবেই নতুন একটি ধারার জন্ম দেবে। কেননা ৩০-৩২ বছর বয়স হলেই যেখানে নিয়মিত একজন ক্রিকেটারদের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় সেখানে তার অন্তর্ভূক্তি!
তবে জাতীয় পর্যায়ে ফেরার এই স্বপ্নের পথে তাকে প্রেরণা যোগাচ্ছেন তারই সমসাময়ীক বর্তমান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, ‘হাবিবুল বাশার সুমন ও মোহাম্মদ রফিক ভাই এর পর আমাদের দেশে কেউই ৩৭-৩৮ বছর পর্যন্ত খেলতে পারেনি। কিন্তু আমি ধারার প্রবর্তন করতে চাই। মাশরাফি বোলার হয়েও এখনো খেলে যাচ্ছে, যা বড় অনুপ্রেরণার বিষয়। ব্যাটসম্যানরা ফিরতে পারছে না, কারণ তাদের অসাধারণ পাফরম্যান্স নেই। ’
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিরপুর সাকিব '৭৫ এ বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন ও ফেসবুক গ্রুপ এফবিসি টাইগার্সের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল। সেখানেই এ কথা বলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি পাপনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গেও এসময়ে কথা বলেন আশরাফুল। বলেন, ‘তার সাথে দেখা করেছি, সে সবসময় ইতিবাচক। ভালো খেললে আমাকে তারা আরেকটা সুযোগ দেবেন, এটা আমার বিশ্বাস। । বাংলাদেশ দলে খেলার লক্ষ্য আছে তবে আমার প্রথম গোল হচ্ছে জাতীয় লিগ। ’
‘প্রস্তুতি নিচ্ছি দুই মাস ধরে। যেখানেই খেলবো ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই। তারপর হয়তোবা বিবেচনায় আসবো, আমাকে সিলেকশন করবে কি করবে না। সিলেকশনের ব্যাপারটি অনেকটা আমার উপরেও। আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। জাতীয় লিগে যদি ২০০-৩০০ মারতে পারি একেকটা ইনিংসে। তখন হয়তো বিবেচনায় আসবো, আমাকে দিয়ে আবারও হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম