ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শ্রীলঙ্কার বিদায়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
শ্রীলঙ্কার বিদায়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান মাথা নিচু করে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা মাঠ ছাড়ছেন আর আফগানরা উল্লাসে ফেটে পড়ছেন

ঢাকা: ২৫০ রানের টার্গেটে খেলেত নেমে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটেকে পড়লো পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪১ দশমিক ২ ওভারে ১৫৮ রানে অল আউট হয় বিশ্বকাপ জয়ী দলটি। আর লঙ্কানদের বিদায়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আসরটির সুপার ফোর নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

এর আগে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী খেলায় ১৩৭ রানে বাংলাদেশের কাছে হারার পর গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় নবীন দল আফগানদের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলো উপুল থারাঙ্গা, ম্যাথউজ ও মালিঙ্গারা।

আড়াইশ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কায় খায় শ্রীলঙ্কা।

মজিবু উর রহমানের বলে লেগ বিফোর হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। এরপর ধনানঞ্জয়া ডি সিলভা ও আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গার জুটিতে ৫৩ রান আসে।

এই জুটি শ্রীলঙ্কানদের একটু আশাবাদী করে তুললেও দলীয় ১৩ দশমিক ১ ওভারে ৫৪ রানের মাথায় রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেনে ধনানঞ্জয়া ডি সিলভা।

এরপর মজিব, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান এবং মোহাম্মদ নবীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একেকটি উইকেট বিলিয়ে দেন কুলাশ পেরেরা, শেহান জয়সুরিয়া, থিসেরা পেরেরা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজরা।

>>আরো পড়ুন...আফগানদের আড়াইশ ছুঁতে দিলেন না থিসারা

আফগানদের পক্ষে এই চার বোলার দুটি করে মোট আটটি উইকেট ভাগ করে নেন। বাকি দুটি হয় রান আউট।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে থারাঙ্গার ব্যাট থেকে, ব্যক্তিগত ৩৬ রানে নায়েবের বলে আসগর আফগানের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন থিসেরা পেরেরা। এছাড়া ম্যাথিউজ ২২, ডি সিলভা ২৩, কুলাশ পেরেরা ১৭ এবং জয়সুরিয়া করেন ১৪ রান। বাকিদের আর কেউ দু’অংকের কোটা পার করতে পারেনি।

এর আগে, এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান।  প্রথম উইকেট জুটিতে ৫৭ রান তুলে শুরুটা ভালই করে আফগানরা।  ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ (৩৪) লঙ্কান বোলার ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার ইহসানুল্লাহকে (৪৫) সঙ্গে নিয়ে ইনিংস টেনে নেন রহমত শাহ (৭২)। এই দুজনের জুটিতে আসে ৫০ রান।

দলীয় ১০৭ রানে ধনঞ্জয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ইহসানুল্লাহ। দলীয় ১১০ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক আসঘার আফগানও (১)। তবে এরপর আবার হাশমাতুল্লাহকে (৩৭) সঙ্গে কার্যকর জুটি গড়েন রহমত শাহ। দলীয় ১৯০ রানে চামিরার বলে থিসারা পেরেরার ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন রহমত। এরপর দলীয় ২০৩ রানের মাথায় হাশমতুল্লাহ থিসারা পেরারার প্রথম শিকারে পরিণত হলে বিপদে পড়ে যায় আফগানিস্তান।  

২০৩ থেকে স্কোর ২২৭ পর্যন্ত পৌঁছাতেই আরও ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরমধ্যে মোহাম্মদ নবীর (১৫) উইকেট তুলে নেন মালিঙ্গা আর নজিবুল্লাহ জাদরানকে (১২) বোল্ড করে দেন থিসারা। শেষ ওভারে যখন বল হাতে নেন থিসারা আফগানদের স্কোর তখন ২৪২/৭। ওভারের প্রথম বলেই গুলবাদিন নাইবের (৪) উইকেট নিয়ে শুরু, মাঝে দুই বলে আফতাব আলম এক ছক্কা ও সিঙ্গেল নিয়ে ৭ রান যুক্ত করেন।  

এরপর ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ এক ইয়র্কারে রশিদ খানের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন থিসারা। শেষ বলে মুজিব উর রহমানকেও ইয়র্কারে পরাস্ত করে আফগানদের ২৪৯ রানেই থামিয়ে দেন থিসারা এবং সেই সঙ্গে ২০১২ সালের পর ওয়ানডেতে এক ইনিংসে আবারও ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়েন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএফআই/এনটি/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।