সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দলের জার্সি গায়ে দেখা গেছে দিলশানকে। ওই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এই বিধ্বংসী ওপেনার।
যাই হোক, প্রায় ৪২ বছর বয়সে আবার লঙ্কানদের হয়ে মাঠে নামতে চান দিলশান। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে দলের বাজে ফর্ম দেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন তিনি। এশিয়া কাপের চলতি আসরের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারচেয়েও বড় কথা দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৩৭ ও ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন ম্যাথুসরা।
শুধু এশিয়া কাপ কেন, গত এক বছর ধরেই বাজে সময় যাচ্ছে লঙ্কান ক্রিকেটে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতার পর একটাও ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলতে পারেনি তারা।
তবে দিলশানের দলে ফেরার পেছনে বড় অন্তরায় তার বয়স। আগামী মাসেই ৪২ বছরে পা দিচ্ছেন তিনি। আবার ম্যাচ প্র্যাকটিসের ঘাটতি, ফিটনেসের সমস্যা এসব কারণেও তার ফেরা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। কিন্তু নিজের দিকে তাকানোর চেয়ে এখন ডুবন্ত দলকে সহায়তা করার দিকেই মনোযোগ দিতে চান তিনি।
শুধু দলে ফেরাই নয়, বরং ২০১৯ সালের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপেও অংশ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন দিলশান।
দিলশানের ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়ে টুইট করেছেন বিবিসির রিপোর্টার ও প্রযোজক আজ্জাম আমিন। তিনি জানিয়েছেন, এলএকে এফএম রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন দিলশান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১০,২৯০ রানের মালিক দিলশানের ঝুলিতে আছে ১০৬টি উইকেটও। তাছাড়া তিনি ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ৫০০ রান করে ওই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন।
দিলশান যদি সত্যিই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসেন, তা লঙ্কান ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই বাড়তি আত্মবিশ্বাসের যোগান দেবে সন্দেহ নেই। আর ক্রিকেটবিশ্বও পুনরায় একজন গ্রেট ক্রিকেটারকে মাঠে খেলতে দেখার সুযোগ পাবে, যা অনেককে ক্রিকেট নস্টালজিয়ায় ফিরিয়ে নেবে সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এমএইচএম